অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে পর তার লাশ বস্তাবন্দি করে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় ফেলে রাখা হয়। সেখান থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। গেলো মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৯টায় তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।
দাফনের পরদিন (১৯ জানুয়ারি) শিমুর জন্য মিলাদের আয়োজন করা হয়। এসময় শিমুর শ্বশুর, ননদসহ ওই পরিবারের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। শিমুর বাবার পরিবারের দিক থেকেও অনেকেই মিলাদে অংশ নেন। প্রয়াত অভিনেত্রীর দুই সন্তানও সেখানে ছিলো।
শিমুর ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন জানান, ‘শিমুর বাচ্চাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে সবাই চিন্তা ভাবনা করছে। এই নির্মম পরিস্থিতিতে বাচ্চাগুলো খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। মিলাদ শেষে শিমুর দুই বাচ্চাকে তাদের ছোট খালার বাসায় রেখে এসেছি। শিমুর পরে খালাকেই (ফাতেমা নিশা) বাচ্চা দুটো বেশি পছন্দ করে। তাই আপাতত আমাদের ছোট বোনের কাছেই বাচ্চা দুটো আছে।’
প্রসঙ্গত, অভিনেত্রী শিমুর ১৯৯৮ সালে সিনেমায় অভিষেক হয়। তিনি প্রায় ২৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি একটি টিভি চ্যানেলের মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত ছিলেন। শিমু চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী সমিতির সদস্য পদ হারানো ১৮৪ জনের মধ্যে একজন। তিনি ভোটাধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করছিলেন।