Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

র‍্যাবকে শান্তি মিশনে নিষিদ্ধ করার আহবান জানিয়েছে ১২ সংস্থা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারী ২০২২, ০২:৩৪ PM
আপডেট: ২০ জানুয়ারী ২০২২, ০২:৩৪ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


বাংলাদেশের আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-কে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে নিষিদ্ধ করার আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ১২টি মানবাধিকার সংস্থা। জাতিসংঘের শান্তি অপারেশন বিভাগের প্রতি তারা এই আহবান জানান। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জিন-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে এই আহবান জানানো হয়েছে।

এইচআরডাব্লিউ তাদের ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে।

এই মানবাধিকার সংস্থাগুলো ব্যাপকভাবে র‌্যাবের নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরাও নির্যাতন, জোরপূর্বক গুম এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে র‍্যাব সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অপারেশন বিভাগ এখনও এই চিঠির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। গত ৮ নভেম্বর এই চিঠি পাঠানো হয়েছিল।

রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার এর সভাপতি কেরি কেনেডি বলেছেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস যদি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার বিষয়ে সিরিয়াস হয়ে থাকেন তাহলে তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মতো ইউনিটগুলোকে শান্তি মিশনে মোতায়েন থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। কারণ তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘প্রমাণ স্পষ্ট, এখন জাতিসংঘের জন্য একটি সীমা আঁকার সময় এসেছে’।

গত ১০ ডিসেম্বর মার্কিন সরকার গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যাকাউন্টেবিলিটি আইনের অধীনে র‌্যাব-কে এমন একটি ‘বিদেশী সত্ত্বা হিসেবে চিহ্নিত করেছে যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বা মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত’।

জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকারকে ‘জাতিসংঘ শান্তি মিশনে মোতায়েনের জন্য প্রস্তাবিত সকল সামরিক ও পুলিশ কর্মীদের জন্য যথাযথ জাতিসংঘ নির্দেশিকা সহ একটি স্বাধীন যাচাইকরণ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করতে বলেছে। যার কাজ হবে কোনো ব্যক্তি বা ইউনিট নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম বা অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে ছিল কিনা তা যাচাই করা এবং তাদের বাদ দেওয়া।

যে প্রতিষ্ঠানগুলো ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে তারা হলো:

১. অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

২. গুমের বিরুদ্ধে এশিয়ান ফেডারেশন

৩. এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট

৪. এশিয়ান মানবাধিকার কমিশন

৫. মুক্ত নির্বাচনের জন্য এশিয়ান নেটওয়ার্ক

৬. মৃত্যুদণ্ড ন্যায়বিচার প্রকল্প

৭. সিভিকাস: নাগরিকদের অংশগ্রহণের জন্য বিশ্ব জোট

৮. হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

৯. আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফেডারেশন

১০. রবার্ট এফ কেনেডি মানবাধিকার

১১. মানবাধিকারের জন্য আইনজীবী

১২. নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্ব সংস্থা

Bootstrap Image Preview