ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থী এবং সোনালী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করে ধরা পড়েছেন এক যুবক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ওই যুবককে আটক করে বেঁধে রাখেন একদল শিক্ষার্থী। পরে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয় তাকে। শুক্রবার দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের ডিভোর্স হয়েছে।
বিয়েকাণ্ডে ধরা পড়া জয়নাল চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আসলে কফির দোকানদার।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার জানান, বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সাহায্যে থানায় সোপর্দ করা হয়। তবে ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করতে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার সময় থানায় উপস্থিত থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান রবিন বলেন, ‘আমরা তাকে পুলিশে দিয়েছিলাম। শুক্রবার অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগীর অভিভাবক এসে দুই পক্ষের সম্মতিতে দুজনের ডিভোর্স হয়। এরপর অভিযুক্তের কাছ থেকে এ ধরনের কাজ আর করবেন না মর্মে হলফনামা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
অভিযুক্তকে থানায় সোপর্দ করার সময় উপস্থিত সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেন, ‘আমাদের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সমস্যার কথা বললে আমরা তাকে বলি যেন কৌশলে তাকে ঢাবি ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। এখানে নিয়ে আসার পর আমরা তাকে ধরে ফেলি। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সবকিছু স্বীকার করেন। এরপর আমরা প্রক্টরিয়াল টিমের সহযোগিতায় তাকে থানায় সোপর্দ করি।’
বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, ‘প্রতারক আমাকে বলেছে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। এখন তিনি সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা। এসব বলে আমাকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর আমি বুঝতে পারি তিনি আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি আমাকে নির্যাতনও করতেন।’
অভিযুক্ত জয়নাল বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি নাই। না বুঝে আমি এটা করেছি। তবে আমার সংসার করার ইচ্ছে ছিল।’