অনুশীলনের সময় অনুমতি না নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বকর ছিদ্দিক বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে খারিজের এ আদেশ দেন।
বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, রাষ্ট্র বা সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি ছাড়া এ জাতীয় আবেদন গ্রহণ করা যাবে না।
বিষয়টি জানান মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দীন খান হিরন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগর হাকিম আদালতে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল মামুন মামলার এ আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়ে দেন।
আবেদনে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ বাবর আজম, কোচ সাকলায়েন মোস্তাক, ম্যানেজার মনসুর রানা, ক্রিকেটার শাদাব খান, ফখর জামান, আসিফ আলী, হায়দার আলী, হারিস রউফ, হাসান আলী, ইফতেখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, শাহনেওয়াজ দাহানি, ওসমান কাদির ও শহীদ আসলামকে আসামি করার কথা বলা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল হক নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছিলেন।
মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের আতিথেয়তার সুযোগে স্বাগতিক দেশে এসে প্রথম দিনেই পাকিস্তানি ক্রিকেট দল বিধিবিধান ও আইন লঙ্ঘন করে ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে নিজ দেশের জাতীয় পতাকা ওড়ায়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে অভিযোগে করা হয়, আসামিরা ক্রীড়া-কসরত প্রদর্শনের নামে অসৎ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত ১৫ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে খেলায় লিপ্ত হয়। তাদের এমন ধৃষ্টতামূলক কর্মকাণ্ড দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। তা সত্ত্বেও আসামিরা মাঠে বিদেশি পতাকা স্থাপন ও উড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংহতিকে দুর্বল ও ধ্বংসের হীনচেষ্টায় লিপ্ত থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ করেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তান দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে খাটো করার ব্যর্থ প্রত্যয়ে এমন হীন কাজ করেছে।
আবেদনে বলা হয়, বাদী আল মামুন শাহবাগ ও মিরপুর মডেল থানায় মামলা করতে যান। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেছেন।
বাদী আবেদনে বলেন, আসামিরা বিদেশি নাগরিক। যেকোনো সময় বাংলাদেশ ছেড়ে পালানোর আশঙ্কা রয়েছে তাদের। তাই মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে হবে।
মামলার আবেদনে তিনজনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তারা তিনজনই মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা। তারা হলেন আল মামুন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সহসভাপতি রোমান হোসেন।