পাকিস্তানে গ্রেনেড হামলায় প্রাণ গেছে শিশুসহ ১০ জনের। শনিবার স্থানীয় সময় রাতে করাচিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে আরও ৮ জন। নিহতদের ৬ জন নারী ও বাকি ৪ জন শিশু।
করাচি পুলিশ ও উদ্ধারকারীরা জানান, শনিবার গ্রেনেড হামলাটি হয়েছে বালদিয়া শহরের মাওয়াচ গোথ এলাকায় একটি ট্রাকে।
কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রাজা উমর খাত্তাব বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এটি একটি গ্রেনেড হামলা।’
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, গাড়ির পাটাতনে পড়ার আগেই গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়।
প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানা গেছে, হামলাকারীরা একটি মোটরসাইকেলে এসেছিল।
দক্ষিণ জোনের ডিআইজি জাভেদ আকবর রিয়াজ বলেন, হামলার ঘটনা ঘটেছে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে। সে সময় ট্রাকটিতে ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল।
তিনি বলেন, ‘একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ওই যাত্রীরা বাড়ি ফিরছিলেন।’
পুলিশের অতিরিক্ত সার্জন কোয়ারার আব্বাসি বলেন, নিহত ১০ জনের লাশ ড. পাফুয়া সিভিল হাসপাতালে আনা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছয়জন নারী ও চার শিশু।
গ্রেনেড হামলায় আহত আরও ১০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।
মৃত চার শিশুর সবাই ছেলে। তাদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
করাচির প্রশাসক মুর্তজা ওয়াব ঘটনাটির দতন্ত করে কেমারির এসএসপির কাছে জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাটি বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত করা হচ্ছে।
হামলায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ সরাসরি পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকেও ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার ছিল পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস।