Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চোখে হাত দিয়ে কাঁদছে ব্রাজিল, হাসছে আর্জেন্টিনা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২১, ০৮:২৬ AM
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২১, ১২:৫৬ PM

bdmorning Image Preview


একটি করে ফাইনাল আসে আর বিষাদের কাব্য লেখা হয়। ফুটবলকে দুই হাত ভরে দেওয়া লিওনেল মেসির হাত শূন্যই থেকে যায়। ফুটবলের প্রায় সব রেকর্ড পায়ে লোটানো মেসি সাদা-আকাশী জার্সিতে থেকে যান বিবর্ণ। এবার আর একই গল্প নয়। এবার সময় বিজয় কেতন ওড়ানোর। মারাকনায় লেখা হলো বিজয়ের সেই গল্প। ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুললো আর্জেন্টিনা। অবশেষে মেসির হাতে উঠলো একটি আন্তর্জাতিক শিরোপা।  ২৮ বছর পর বিশ্ব ফুটবলের ট্রফি জিতল মেসির আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়ার এক মাত্র গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে ১৫তম বারের মতো কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচের প্রথমার্ধের ২২ মিনিটে করা দি মারিয়ার গোলটিই শিরোপা নির্ধারনী হয়ে দাঁড়ায়।

মারাকানার ঐতিহাসিক ভেন্যুতে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বির শিরোপা লড়াইয়ের আগে হয় লেজার শো ও আতশাবাজির খেলা। হাজার পাঁচেক দর্শককে অনুমতি দেয়া হয় ফাইনালের। দর্শকসারিতে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।

ফাইনালে শুরুটা ভালো করে ব্রাজিল। প্রথম ১৫ মিনিটে ম্যাচে একচেটিয়া প্রাধান্য ছিল তাদের।

স্বাগতিকদের হয়ে ম্যাচে প্রথম সুযোগ পান নেইমার জুনিয়র। ১৩ মিনিটে রিচার্লিসনের বাড়ানো বল থেকে তার ভলি ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টিনা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস।

মাঠের অন্য প্রান্তে নিজেদের প্রথম প্রচেষ্টাতেই গোল করে বসে আর্জেন্টিনা। মাঝমাঠ থেকে রদ্রিগলো দে পলের বাড়ানো বল ব্রাজিল ডিফেন্ডার রেনান লোদি ক্লিয়ার করতে না পারলে ব্রাজিলের বক্সে কাছে তা পেয়ে যান আনহেল দি মারিয়া।

আগুয়ান গোলকিপার এডারসনের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন অভিজ্ঞ এই উইঙ্গার। লিড নিয়ে কিছুটা আগ্রাসী হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা।

১০ মিনিট পর লিওনেল মেসির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধে পুরো চড়াও হয়ে খেলে ব্রাজিল। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিল না।

৫২ মিনিটে পাকেতার পাস থেকে জোরালো শটে বল জালে জড়ান রিচার্লিসন। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় গোল।

ব্রাজিল কোচ লিওনার্দো তিতে দ্বিতীয়ার্ধের এক পর্যায়ে মাঠে চারজন স্ট্রাইকার খেলান যাদের মধ্যে ছিলেন অভিজ্ঞ গাবিগোলও। তাতে কাজ হয়নি।

বারবার নেইমার-ভিনিসিয়ুসরা চেষ্টা করেছেন আর্জেন্টাইন রক্ষণ ভাঙার। সেটি হয়ে ওঠেনি। ধীরে ধীরে শিরোপা চলে যায় ব্রাজিলের নাগালের বাইরে।

অন্যপ্রান্তে মেসি একেবারে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন একেবারে শেষ মুহূর্তে। ৮৯ মিনিটে এডারসনকে ওয়ান-অন-ওয়ান পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি।

ইনজুরি টাইমের ৫ মিনিট দাঁতে দাঁত চেপে ব্রাজিলের আক্রমণের তোড় সয়ে যায় আর্জেন্টাইন ডিফেন্স।

আর কোনো গোল না হলে আর্জেন্টিনা ও লিওনেল মেসির হাতে ওঠে বহুল প্রতীক্ষিত কোপা আমেরিকা শিরোপা।

এই জয়ে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫ বার ট্রফি জিতলো আর্জেন্টিনা। উরুগুয়েও জিতেছে ১৫টি।

আর ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর দ্বিতীয়বার মারাকানায় শিরোপা খোয়ালো নেইমারের ব্রাজিল।

Bootstrap Image Preview