Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২১, ০৯:৩৮ AM
আপডেট: ২৯ মে ২০২১, ০৯:৩৮ AM

bdmorning Image Preview


আজ ২৯ মে, আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। এবার দিবসটির মূল প্রতিপদ্য বিষয় হলো ‘স্থায়ী শান্তির পথ : শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য তারুণ্যের শক্তি ব্যবহার’। প্রতিবছরই দিবসটি এলেই বিশ্ব শান্তিররক্ষায় বাংলাদেশের এক অন্যরকম অহংকারের দৃশ্যপট সামনে উঠে আসে।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে বিশ্বের আটটি মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর ৬ হাজার ৭৪২ সদস্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত। আর বাংলাদেশই বেশি শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবারও বাংলাদেশে পালন করা হচ্ছে দিবসটি। এই দিনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়া দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়াও বাণি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আমি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা-মিশনে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সকল শান্তিরক্ষীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোত্সর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত এ আদর্শ অনুসরণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা আমি গর্বভরে স্মরণ করছি এবং শান্তিরক্ষা-মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি নিহত শান্তিরক্ষীদের—যারা বিশ্বশান্তির জন্য অকাতরে জীবন বিসর্জন দিয়ে বিশ্বদরবারে দেশের পতাকাকে সমুন্নত করেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় প্রদত্ত তার ঐতিহাসিক ভাষণে বিশ্বের সর্বত্র শান্তিপ্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুপ্রতীম সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত সকল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে।

কর্মসূচি : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এদিন সকালে শান্তিরক্ষীদের স্মরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে শান্তিরক্ষী র‌্যালি-২০২১ উদ্বোধন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকটাত্মীয় এবং আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়েছে। সেনাকুঞ্জে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকটাত্মীয় এবং আহত শান্তিরক্ষীদের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভিটিসির মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে বিশেষ জার্নাল ও জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিশেষ টক শো প্রচারিত হচ্ছে। এ ছাড়া শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview