চাঁদে যাচ্ছেন জাপানের এক কোটিপতি। তিনি দেশটির ফ্যাশন মুগল ইউসাকু মায়েজাওয়া। তবে তিনি একা নন, সঙ্গে বিনামূল্যে নিয়ে যেতে চান আরো ৮ জনকে।
সম্প্রতি তিনি জানান, ২০২৩ সালে চাঁদের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এলন মাস্কের মহাকাশযান প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের একটি স্পেসক্রাফট। এই বিমানে তিনি তার সঙ্গে যেতে আরো ৮ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এক ভিডিও বার্তায় মায়েজাওয়া জানান, তিনি তার সঙ্গে চন্দ্র অভিযানে যেতে খুঁজছেন আরো ৮ জনকে। এদিকে চন্দ্র অভিযানে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আরেক কোটিপতি শিফট ফোর পেমেন্ট প্লাটফর্মের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জারেদ ইসকম্যান। স্পেস ক্রু ড্রাগন স্পেসক্রাফটে তার সঙ্গে যেতে তিনিও খুঁজছেন আরেকজনকে।
মায়েজাওয়া নিজের স্পেস মিশনের নাম দিয়েছেন মিশন মুন। এ নামে আছে একটি পেজ। পেজে আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। তার সঙ্গে যেতে আগ্রহীদের দুটি গুণ থাকতে হবে। প্রথমত তাদের মহাকাশে যাওয়ার আগ্রহের পাশাপাশি মানুষ আর সমাজের স্বার্থে কাজ করতে হবে। নিজেদের যাত্রার সময় অন্য ক্রুদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে।
এরই মধ্যে ৮ জনকে বেছে নেয়া হয়েছে, যারা মায়েজাওয়ার সঙ্গে চাঁদে যাচ্ছেন। তবে ইউসাকু জানান, তিনি যাদের নিয়ে যাবেন, তাদের তিনি বিনামূল্যে নিয়ে যেতে চান। বাকিদের যাত্রার বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তবে মায়েজাওয়া জানান, সর্বমোট ১০ থেকে ১২ জন যেতে পারবেন এই স্পেসক্রাফটে। বাকিদের নিজ খরচে যেতে হবে।
ডিয়ার মুন মিশন পুরোটাই স্পেস এক্সের স্টারশিপ রকেটের ওপর নির্ভর করছে। এই রকেট এখনো তৈরি এবং সংস্কার করা হচ্ছে। স্পেস এক্সের অনেক রকেটেরই পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন হচ্ছে।
স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক বলেন, ২০২৩ সালে স্টারশিপ ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে। তবে এই এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রির সব প্রকল্পই বেশ ব্যয়বহুল।
যদি মিশন সফল হয়, মায়েজাওয়ার দল পৃথিবীর প্রথম দল হবে, যারা নিজস্ব অর্থায়নে পৃথিবীর কক্ষপথ ঘুরে আসবে। ৬ দিনের এ মিশনে ৩ দিন সময় লাগবে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছাতে। স্পেসশিপটি একবার চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করে ফিরে আসবে পৃথিবীতে।