Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বড় ভাইয়ের ভালোবাসার বলি হলো ছোটভাই

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০২১, ০৩:০৫ PM
আপডেট: ০১ মার্চ ২০২১, ০৩:০৫ PM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ সংগৃহীত


আজ থেকে আড়াই বছর আগে ভালোবেসে নিপা আক্তারকে বিয়ে করেছিলেন ইয়াসিন। নিপার পরিবার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। তারা ইয়াসিনকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয় কিশোর মোহাম্মদ আমিন। সে ইয়াসিনের ছোট ভাই।

ইয়াসিন কুমিল্লার মুরাদনগরের পালাসুতা গ্রামের প্রবাসী নোয়াব মিয়ার ছেলে। নিপা আক্তার একই উপজেলার মানিককান্দির ডালিম মিয়ার মেয়ে।

ময়নাতদন্ত শেষে গেলো শনিবার দুপুরে পরিবারের কাছে মোহাম্মদ আমিন লাশ হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে আশপাশের বাতাস। পরে জানাজা শেষে টমছম ব্রিজ এলাকায় দাফন করা হয় মোহাম্মদ আমিনকে।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লা নগরীর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মডার্ন হাই স্কুলের পেছনের বিসিক মাঠে ক্রিকেট খেলছিল ইয়াসিনের ছোট ভাই মোহাম্মদ আমিন। খেলায় আম্পায়ার ছিল নিপার মামাতো ভাই পারভেজ। নো বল ডাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মোহাম্মদ আমিনকে ছুরিকাঘাত করে পারভেজ। শনিবার রাতে পারভেজকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ আমিনের মা শেফালী বেগম রবিবার সকালে চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন- ঘাতক পারভেজ, তার ছোট ভাই আরমান, খালা নাজমা ও খালু জুয়েল।

নিহতের বড় ভাই ইয়াসিন বলেন, আমি সম্পর্ক কইরা বিয়া করছি। এর জন্য আমার ছোডু ভাইডারে আমার বউয়ের মামাতো ভাই পারভিজ্জা মাইরালাইছে। আমার ভাইডারে মারনের আগের সাপ্তাহ পারভিজ্জা আমার লগেও কাইজ্জা লাগছে। হেই সময় এলাকার মাইনষে কাইজ্জা থামাইছে।

আমিনের মা শেফালী বেগম বলেন, ‘আমার পোলাডা সারা সাপ্তাহ কাম করতো। শুক্কুরবার আইলে খেলতো। কেউর লগে কাইজ্জা জগড়া করতো না। আমার ভালা পোলাডারে ছুরি দিয়া মাইরালাইছে পারভিজ্জা।‘

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে নাজমা ও রাতে পারভেজকে আটক করি। তার দেয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরাটিও উদ্ধার করি। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান।

Bootstrap Image Preview