Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

গর্ভবতী হলেই আর্থিক প্রনোদনা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারী ২০২১, ০৭:৩০ AM
আপডেট: ০৫ জানুয়ারী ২০২১, ০৭:৩০ AM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


প্রথমবারের মত জন্ম হারের চেয়ে মৃত্যু হার বেড়ে যাওয়ায় দম্পতিদের সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে আর্থিক প্রনোদনা চালুর ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

গত বছর দেশটিতে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৮০০ শিশুর জন্ম হয়, যা ২০১৯ সালের জন্মহারের তুলনায় ১০ শতাংশ কম। কিন্তু মারা গেছে প্রায় তিন লাখ সাত হাজার ৬৪ জন।

এই পরিসংখ্যানের পর দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জাতীয় নীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনার অনুরোধ করা হয়েছে। জনসংখ্যার ক্রমান্বয়ে হ্রাস দেশটির ওপর ভয়াবহ চাপ তৈরি করেছে। তরুণ জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় দেশটিতে শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে যা প্রভাব ফেলেছে তাদের অর্থনীতিতে।

গত মাসে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জা জন্মহার বাড়াতে ও সব পরিবারকে সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করতে নতুন কিছু নীতি প্রণয়ন করেছেন।

ওই স্কিমের অধীনে, ২০২২ সাল থেকে গর্ভবস্থায় থাকা প্রতিটি শিশুকে প্রসবের আগের যাবতীয় খরচ হিসেবে ২০ লাখ কোরিয়ান নগদ অর্থ (উন) অর্থাৎ এক লাখ ৫৬ হাজার টাকা বোনাস দেয়া হবে। শিশুর জন্মের পর এক মাস হওয়ার আগ পর্যন্ত তিন লাখ উন মাসে দেয়া হবে। দম্পতিদের উৎসাহিত করতে ২০২৫ সাল থেকে প্রতি মাসে ওই অর্থের পরিমাণ বেড়ে হবে পাঁচ লাখ উন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় নারীদের কর্মক্ষেত্রের সাথে জীবনের অন্যান্য চাহিদার সামঞ্জস্য রাখায় নানা সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়। যা এমনটি হওয়ার জন্য দায়ী।

হুন য়্যু কীম দক্ষিণ কোরিয়ার একজন নারী। তিনি চার ভাইবোনের মধ্যে বড়। তিনি তার নিজের একটি বড় পরিবারের স্বপ্ন দেখলেও তার পরিবারের অসহযোগিতার কারণে সন্তান পরিকল্পনার বিষয়টি নিয়ে তাকে পুনরায় ভাবতে হচ্ছে।

তিনি সম্প্রতি নতুন একটি চাকরিতে যোগদান করেছেন। তাই মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে তিনি চিন্তিত। তিনি বলেন, সবাই আমাকে বলছে আগে ক্যারিয়ার তৈরি করা বেশি নিরাপদ।

আবাসিক জমির দাম বৃদ্ধি এ পরিস্থিতির পেছনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। কিম বলেন, জমির দাম দ্রুত গতিতে বেড়ে যাওয়ার কারণে নব দম্পতিরা সন্তান নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। বেশি সন্তান নেয়ার পর আপনার নিজের একটি বাড়ির প্রয়োজন হবে কিন্তু কোরিয়ায় যা অসম্ভব স্বপ্ন মাত্র।

তিনি সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ কার্যকারী নয় বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি সন্তান লালন-পালনের প্রক্রিয়াকে আরো ব্যয়বহুল করে দেবে। সরকারের দম্পতিদের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান এ সমস্যার সমাধান নয়।

Bootstrap Image Preview