‘প্রবাসে আসার পর থেকে ঋণের চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না, ক্যাটারিং-এর খাবারও গলা দিয়ে নামতে চায় না।’ হৃদয়-বিদারক এ কথাগুলো বললেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী সুমন সিকদার।
তিনি বলেন, ব্যাংকের লোন আর আত্মীয়দের ধারের টাকা দিতে প্রবাসে খেয়ে না খেয়ে খেটে যাচ্ছি। পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধে হাত রেখে, শান্তনা দেয়ার মতো মানুষটিও আজ আর নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘বহু স্বপ্নের প্রবাস জীবন। কত কষ্টই না করেছি প্রবাসী হওয়ার জন্য। নানা মানুষের কাছে দৌড়াদৌড়িও করেছি। আজ যেন কাটা গলায় বিঁধে পড়েছে। না পারছি গিলতে, না পারছে বের করতে। জীবনের প্রতি গভীর অভিমান নিয়ে কাটে প্রতিটি মিনিট।’
সাধ্যের অধিক ঋণের বোঝা কেড়ে নিয়েছে আমার হাসি এমন মন্তব্য করে প্রবাসী সুমন সিকদার জানান, এই ঋণ মনের শান্তি আর রাতের ঘুম হারম করে দিয়েছে। কবে ঋণ শোধ হবে আর কবে পারব বুকভরা নিঃশ্বাস নিতে। কবে ফিরবে শান্তির ঘুম, বিশ্বজয়ের হাসি।
তিনি আরও জানান, ‘হয়তো একদিন ঋণ শোধ হবে। দূর হবে ঘরের অভাবও কিন্তু প্রথম প্রবাসের অর্থ কষ্ট আর খাদ্যের কথা কোনোদিন হয়তোবা ভুলতে পারব না। নামমাত্র হাত খরচে সারা মাস পার করি, মার্কেটে সাজিয়ে রাখা ফল আর খাবার দেখে খেতে ইচ্ছে করলেও পারি না। করোনা আতংকিত হয়ে কাজ না থাকায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে আমাদের।’