Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভার্চুয়ালি নয়, আগের মতোই হবে বইমেলা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:৪২ PM
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:৪২ PM

bdmorning Image Preview


বিডিমর্নিং ডেস্কঃ আগের মতো আয়োজনেই অনুষ্ঠিত হবে অমর একুশে বইমেলা। রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ।

এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে আগামী বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। তবে প্রতিষ্ঠানটির একক ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারেননি লেখক ও প্রকাশকরা। তারা অনেকেই এই সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানান আবার অনেকে গণমাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া দেন।

এমনকি স্টল বসিয়ে বইমেলা স্থগিতের বিপক্ষে গতকাল শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি। পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রয় সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন এবং জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ এর যৌথ বিবৃতি বলা হয়, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ একতরফা মিটিংয়ে আসন্ন অমর একুশে বইমেলা ২০২১ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বইমেলার সার্বিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা পর্ষদ’বিষয়টি ওয়াকিবহাল নয়। এছাড়া বইমেলার অংশীজন প্রকাশকদের

প্রতিনিধিত্বকারী দুই সংগঠন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি কারও সঙ্গেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা করা হয়নি।

এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেছিলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় এবার বাঙালির প্রাণের উৎসব ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১’স্টল বসিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে ভার্চুয়ালি মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলা একাডেমি।

তিনি আরও বলেন, আগামী বছরে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ভার্চুয়ালি কীভাবে আয়োজন হবে এবং বইমেলার জন্য স্টল বসিয়ে কোন মাসে আয়োজন করা সম্ভব হবে সেসব বিষয়ে আলোচনা চলছে। মেলা বাতিল হয়নি। শুধু বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্ধারিত তারিখে মেলা শুরু হবে না।

জানা গেছে, অমর একুশে গ্রন্থমেলার স্টল বরাদ্দের শেষ সময় ছিল ৭ ডিসেম্বর। এই সময়ের মধ্যে মাত্র ৮৬ জন স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছে। কিন্তু প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত দুই সমিতি ‘বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি’ও ‘বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’র কেউই স্টল বা প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেননি।

Bootstrap Image Preview