বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চলটিকে কেন্দ্র করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সংঘাত বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।
নাগোরনো-কারাবাখকে আজারবাইজান নিজেদের বলে দাবি করে এলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে, আর্মেনিয়া তাদের সমর্থন দিচ্ছে। ১৯৮৮-৯৪ সাল পর্যন্ত যুদ্ধে অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বাধীন দেশ হিসেবে এখনও কারও স্বীকৃতি পায়নি।
কিন্তু এ অঞ্চলটি নিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে যুদ্ধবিরতি পর বুধবার পর্যন্ত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ দুইটির মধ্যে টানা চতুর্থ দিন পর্যন্ত সংঘাত চলছে।
তুরস্ক ইতিমধ্যেই আজারবাইজানের পক্ষ নিয়েছে। একদিন আগেই আর্মেনিয়ার একটি জঙ্গিবিমান ভূপাতিত করারও অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও তুরস্কের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
বুধবার চতুর্থ দিনে গড়ানো এ সংঘাত বেশিদিন চললে এতে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মিত্র দেশগুলোও জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যদিও নাগোরনো-কারবাখ নিয়ে এখনই বাইরের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ছে না বলে জানিয়েছে আর্মেনিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করার পর একথা বলেছেন।
পাশিনিয়ান জানান, সোভিয়েত উত্তর একটি নিরাপত্তা চুক্তির আওতায় তিনি রাশিয়ার সহযোগিতা চাইতে পারেন, তবে এখনই তার প্রয়োজন পড়ছে না।
পাশিনিয়ান বলেছেন, কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনে (সিএসটিও) থেকে কিংবা এই চুক্তি ছাড়াই আর্মেনিয়া তার নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
আর্মেনীয় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, তার সঙ্গে পুতিনের আলোচনায় নাগোরনো-কারবাখ সংঘর্ষে রুশ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গই ওঠেনি।
রয়টার্স ও ইয়েনি শাফাক