করোনাভাইরাস ঘিরে অর্থনৈতিক মন্দায় সোনার উত্থান-পতন চলছে আন্তর্জাতিক বাজারে। শুক্রবার সোনার দাম কমে দুই মাসে সর্বনিম্ন হয়। এর মধ্য দিয়ে গত এক সপ্তাহে মূল্যবান এ ধাতুর দাম কমেছে ৪ শতাংশ। বিশ্ব অর্থনীতি সাধারণত মন্দার দিকে গেলে সোনার দাম বাড়তে থাকে।
কারণ তখন বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ হিসেবে সোনা ক্রয় করে মজুদ করে রাখার জন্য। আর অর্থনীতি চাঙ্গা হলে সোনার দাম কমে। কারণ তখন বিনিয়োগকারীরা সোনা ছেড়ে শেয়ারবাজারের দিকে ঝুঁকে পড়ে।গোল্ড নিউজলেটারের সম্পাদক ব্রিয়েন লান্ডিন বলেন, ‘অর্থনীতির সব ডাটা ও বড় নির্দেশকগুলো যখন নিম্নমুখী তখন আ’মেরিকায় চাকরি বাড়ছে, এটা ছোট হলেও এ সময়ের জন্য বড় খবর।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, শুক্রবার (৫ জুন) বিশ্ববাজারে সোনার দাম ৪৪ দশমিক ৪০ মার্কিন ডলার বা ২.৬ শতাংশ কমে হয়েছে প্রতি আউন্স ১ হাজার ৬৮৩ ডলার, যা ২ মের পর সর্বনিম্ন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৬১ টাকা। পুরো সপ্তাহের হিসাবে সোনার দাম কমেছে প্রায় ৩.৯ শতাংশ।
এর পাশাপাশি রুপার দামও কমেছে ৫.৫ শতাংশ। বিশ্ববাজারের পাশাপাশি সোনার দাম কমেছে ভারতেও। শুক্রবার ভারতে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৬ হাজার ৩৫০ রুপিতে নেমে যায়। এদিন সোনার দর প্রায় ১ শতাংশ কমেছে।
ফলে মানুষ সোনা ও রুপা মজুদ না রেখে বিক্রি করেছে, যা দাম কমাতে ভূমিকা রেখেছে। ফলে লকডাউন শিথিল হওয়ায় আমেরিকা ও ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে কাজের ক্ষেত্র মে মাসের তুলনায় বেড়েছে। তাই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের দিকে ঝুঁকছেন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম দফতরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হওয়ায় দেশে বেকারত্ব কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ।