করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রাণহানি দুইশো ছাড়িয়েছে। রোববার মারা গেছে আরও ৩ বাংলাদেশি। এ নিয়ে দেশটিতে বাংলাদেশিদের মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০২।
রোববার মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দু’জন নিউইয়র্কের বাসিন্দা। এদের মধ্যে একজন- ৪৬ বছর বয়সী আহসান মোহাম্মদ। তিনি কাজ করতেন নিউইয়র্ক পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে সুপারভাইজার হিসেবে। অপরজন ঢাকার চলচ্চিত্র তারকা হেলাল খানের বাবা মাওলানা আব্দুন নুর খান।
এছাড়া ভার্জিনিয়ায় আরও একজন মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী মহামারীতে মৃত্যুবরণ করা প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে ১৮৫ জনই নিউইয়র্কের। বাকিরা মিশিগান, নিউজার্সি, মেরিল্যান্ড আর ভার্জিনিয়ার। এছাড়া দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন অনেক বাংলাদেশি রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের আক্রমণে ৫৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, রাজ্যে এখন মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজারেরও বেশি। আর করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৫৯০ জন। প্রতিদিন গড়ে এক হাজার করে নতুন সংক্রমণের রোগী হাসপাতালে যাচ্ছেন। নিউইয়র্কে দিনে ২০ হাজার মানুষের করোনা টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছে। অচিরেই এ টেস্টের সংখ্যা ৪০ হাজারে নিয়ে যাওয়া হবে বলে গভর্নর জানিয়েছেন।
গভর্নর কুমো বলেছেন, তিনি নির্বাহী আদেশে রাজ্যের ফার্মেসিগুলোতে করোনাভাইরাস টেস্টিং সুবিধা বিস্তৃত করছেন। ফার্মেসিগুলো টেস্টিং উপাত্ত গ্রহণ করে ল্যাবে পাঠাবে। ল্যাব থেকে টেস্টিং করে ফলাফল ফার্মেসিতে ফেরত পাঠাবে। ফলে দ্রুত রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের জন্য করোনাভাইরাস টেস্টিং সুবিধা বিস্তৃত হবে। নগরীর ফার্স্ট রেসপন্ডার, জরুরি বিভাগ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টেস্ট করা হচ্ছে। এরপরই এমটিএ, পুলিশসহ সামনের সারির জরুরি কর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়ে টেস্টিং করা হবে। দ্রুতই নিউইয়র্কের সর্বত্র টেস্টিং সুবিধা সহজলভ্য করা হবে বলে গভর্নর জানিয়েছেন।
নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও জানিয়েছেন, নগরীতে করোনায় আক্রান্ত মানুষের গড় বয়স দেখা গেছে ৫১ বছর। নগরীতে আক্রান্তের মধ্যে ৫২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৮ শতাংশ নারী বলে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে।