Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দশ হাজার উট-ঘোড়ার পর এবার কোয়ালা হত্যায় মেতেছে অস্ট্রেলিয়া

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ১১:১৪ PM
আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ১১:১৪ PM

bdmorning Image Preview


উট ও ঘোড়া হত্যার পর এবার কোয়ালা হত্যা করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। দেশটির ভিক্টোরিয়া রাজ্যে শতাধিক কোয়ালা হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুলডোজার দিয়ে সেখানে প্রাণীগুলোকে নিধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে শতাধিক কোয়ালার মরদেহ পাওয়া গেছে। 

ব্লুগাম গাছের একটি প্রকল্পে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির পরিবেশবাদী একটি সংগঠন। বার্তা সংস্থা ডিপিএ-কে ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ অস্ট্রেলিয়ার গবেষক অ্যান্থনি অ্যামিস বলেন, ‘তারা (স্থানীয়রা) বুলডোজারে পিষ্ট কোয়ালাগুলোর সন্ধান পায়। আমাদের স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে সেখানে পঁচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এটা একটা হত্যাকাণ্ড।’ দক্ষিণ-পশ্চিম ভিক্টোরিয়ার পোর্টল্যান্ডের কাছাকাছি জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় এক নারী শুক্রবার সেখানকার একটি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘মা (কোয়ালা) আর ছানাদের হত্যা করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার লজ্জিত হওয়া উচিত।’

অ্যামিস জানান, নভেম্বর পর্যন্ত সেখানকার ব্লুগাম গাছের এই প্রকল্প মিডওয়ে নামের একটি কোম্পানির তত্ত্বাবধানে ছিল। এরপর স্থানীয় এক ভূমি মালিকের কাছে সেটি তারা হস্তান্তর করে। সেখানে অন্য গাছ নিধন করতে গিয়ে কোয়ালাদের বুলডোজারে পিষ্ট করা হয়। স্থানীয়রা বেশ কয়েকটি আহত কোয়ালাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছেন বলেও জানা গেছে।

বিষয়টি তদন্ত করছে ভিক্টোরিয়ার পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিকল্পিতভাবে কোয়ালাদের হত্যা করা হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা।

এদিকে মিডওয়ে দাবি করেছে, জমি হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত কোয়ালাদের কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি। প্রাণীগুলোর বসবাসের মত যথেষ্ট গাছও তারা রেখেছিল। ভিক্টোরিয়াতে নব্বইর দশক থেকে এক লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে ব্লুগাম গাছের চাষ হয়েছে। যা কোয়ালাদের থাকারও অন্যতম জায়গা।

এর আগে সাম্প্রতিক দাবানলে অস্ট্রেলিয়াতে অনেক কোয়ালা মারা গেছে, অনেক প্রাণী তাদের বাসস্থান হারিয়েছে। উল্লেখ্য, দাবানলের সময় দেশটিতে ১০ হাজার উট মেরে আর্ন্তজাতিকভাবে নিন্দিত হয় অস্ট্রেলিয়া। এর পর ওই অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। উট মারার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় অতিরিক্ত পানি পানে খরা দেখা দিয়েছে। আর বর্জ্য থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড বাতাসে মিশে যাচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া ঘোড়া মেরে ফেলারও খবর পাওয়া গেছে। 

সূত্র : ডয়চে ভেলে।      

 

Bootstrap Image Preview