Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব ‘হারাম’, ফতোয়া ফিলিস্তিনি আলেমদের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ১০:৩০ AM
আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০, ১০:৩০ AM

bdmorning Image Preview


যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বা শতাব্দীর সেরা চুক্তিকে এরই মধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিন। যার অংশ হিসেবে প্রস্তাবটিতে সমর্থন জানানোকে এবার হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ।

সম্প্রতি গাজার আল আমরি গ্র্যান্ড মসজিদে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি আলেমদের বৃহৎ প্লাটফর্ম ফতোয়াটি প্রদান করে। এর পরপরই তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে থাকে দেশটির একাধিক সংগঠন। যার মধ্যে রয়েছে- ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ, ইসলামি আওক্বাফ এবং ইবনে বায পরিষদের মতো বৃহৎ গোষ্ঠী।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পৃথক বিবৃতিতে সংগঠনগুলো ট্রাম্পের কথিত শতাব্দীর সেরা চুক্তির কঠোর বিরোধিতা করেন।

তাদের মতে, ফিলিস্তিনি জনগণ ও এখানকার রাজধানী আল কুদসের ওপর ট্রাম্পের কথিত এই অশুভ শান্তিচুক্তি গর্হিত অপরাধ। ধর্মীয় ও জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করাই এখন অত্যাবশ্যকীয় (ওয়াজিব)। 

সংগঠনগুলোর দাবি, এবার যারাই চুক্তিটিতে অংশ নিয়েছে এবং সমর্থন জানিয়েছে, তারা সকলেই আল্লাহ, রাসুল, মুসলিম উম্মাহ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের নিকট খেয়ানতদার হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিনি আলেমরা এমন সময় ফতোয়াটি দিলেন যখন ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’ নামে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে অবৈধভাবে ইহুদিবাদী ইসরায়েল নামক একটি কৃত্রিম রাষ্ট্র গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বা শতাব্দীর সেরা চুক্তি নামে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া কেন্দ্রীয় শহর জেরুজালেমের বাইরের আবু দিস নামে ছোট একটি গ্রামকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

ট্রাম্পের সেই পরিকল্পনায় জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের অংশবিশেষ ও গাজা উপত্যকা নিয়ে নামমাত্র একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে। যে রাষ্ট্রের নিজস্ব কোনো সামরিক বাহিনী থাকবে না। 

Bootstrap Image Preview