স্বামী মারা যাওয়ার মাস না পেরোতেই দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নাটোরের বড়াইগ্রামের দিঘলকান্দি গ্রামের বিধবা এক নারী (৪৫)। ঘটনার পর ১৫ হাজার টাকায় বিষয়টি রফা করতে তাকে বাধ্য করা হয়। পরে ওই নারীর হাতে তুলে দেওয়া হয় মাত্র দুই হাজার টাকা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) নির্যাতিত ওই নারী বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
নির্যাতিত ওই নারী বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন। গত বুধবার রাতে ওই নারী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যান। এ সময় দিঘলকান্দি গ্রামের রাজাউল্লার ছেলে মোখলেসুর রহমান দুই সহযোগীকে নিয়ে ওই বিধবার ঘরে ঢোকে। পরে ওই নারী ঘরে ঢুকলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মোখলেসকে আটক করে। তবে বাকি দু’জন পালিয়ে যায়।
গণধর্ষণের এ ঘটনাটি রাতেই ধর্ষিতার বাড়িতে বসে মোখলেসকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন গ্রামপ্রধানরা। এ সময় বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা খান ওই নারীর হাতে মাত্র দুই হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে ঘটনার মীমাংসা করে দেন।
পরে ওই নারীকে থানায় না যেতে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি তাকে চাপ প্রয়োগ করে সকালেই বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন তারা।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোস্তফা বিষয়টি জানেন বলে স্বীকার করলেও টাকা-পয়সা লেনদেন ও থানায় না যেতে চাপ প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, আজ সোমবার ধর্ষিতা বাদি হয়ে ধর্ষক মোখলেস ও মাতাব্বর বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা খানকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।