লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাঁধ ও সড়কের ভাঙ্গা অংশগুলো দিয়ে তিস্তার পানি সতী নদী হয়ে শহরে প্রবেশ করছে।ফলে নদীপাড়ের মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নতুন করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
শুক্রবার রাতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। শনিবার সকালে পানির চাপে হাতীবান্ধাহাট থেকে বড়খাতা বিডিআর গেট বাইপাস সড়ক ভেঙ্গে তিস্তা নদীর পানি হাতীবান্ধা শহরসহ লোকালয়ে প্রবেশ করে।
এতে বাঁধ ও সড়ক ভেঙ্গে জেলার ৫ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় হাতীবান্ধা উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন। শনিবার বিকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে থাকে।
রবিবার রাতে পানি বিপদসীমার ১৩ সেঃমিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু সোমবার দুপুর থেকে আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের লোকজনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
ভারত গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না। তিস্তা নদীর ভয়ঙ্কর রুপ আর গর্জনে পানিবন্দী লোকজনের চোখে ঘুম নেই।
তিস্তা ব্যরাজ দোয়ানী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ভারত গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে আবারও পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারনা করা যাচ্ছে না। পানির গতি নিয়ন্ত্রন করতে তিস্তা ব্যারেজের অধিকাংশ গেটই খুলে দেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, আমি বন্যা এলাকা ঘুরে দেখছি। যেখানে যেভাবে প্রয়োজন সেইভাবেই সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।