লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি শুক্রবার রাত ৯ টা থেকে বিপদ সীমার ৪৪ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর পাড়ের লোকজন আতংকিত হয়ে উঠছে।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তিস্তার চরের লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। একই সাথে তিস্তা ব্যারাজ ও চর এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেলে তিস্তা ব্যারাজ রক্ষার্থে পাউবো ‘ফ্লাড বাইপাস’ কেটে দিতে পারে।
এ বাঁধ কেটে দিলে গোটা লালমনিরহাট জেলার লক্ষাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়বে। এতে শত শত কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হবে। ভারত গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারনা করা যাচ্ছে না। পানির শো শো শব্দে তিস্তা পাড়ে লোকজনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল ৩ টা থেকে তিস্তা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করে। ৪ দিন ধরে পানিবন্দি পরিবার গুলো রান্না করতে না পারায় তাদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। নতুন নতুন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি অবস্থায় দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে। তিস্তা নদীর ভয়ংকর রুপ আর গর্জনে পানি বন্দি লোকজনের চোখে ঘুম নেই।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, আমি বন্যা এলাকা সড়ে জমিনে ঘুরে দেখেছি। যেখানে যেভাবে প্রয়োজন সেই ভাবেই সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভেঙে যাওয়া রাস্তা মেরামতের জন্য ৫ হাজার বালুর বস্তা ও জেলায় ৬৮ টন চাল ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।