Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কুড়িগ্রামে পুকুর খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০১৯, ০৭:৫৩ PM
আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৯, ০৭:৫৩ PM

bdmorning Image Preview


কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পুকুর খননে পুকুর চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২ কোটি ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ১০টি সরকারি খাস পুকুর ও ১৪টি ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরসহ মোট ২৪ টি পুকুর খনন কাজে ব্যাপক অনিয়ম সহ অর্থ হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে।

দায়সারা ভাবে পুকুর খনন করায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রক্েল্পর সিংহভাগ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছেন প্রকল্পের খোদ সুফলভোগী ও পুকুর মালিকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে রংপুর বিভাগ মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প এবং জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উন্নয়ন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ফুলবাড়ী উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে দারিদ্র বিমোচন,কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলাশয়ের জীব বৈচিত্র রক্ষা এবং মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়নের লক্ষ্যে ২ কোটি ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা দেয়া হয়।

এ প্রকল্পে উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৪টি এবং বড়ভিটা ,ভাঙ্গামোড় ও ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ের সরকারি খাস জলাশয়ে ১০টি পুকুর খনন কর্মসুচি হাতে নেয়া হয়।

বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছাড়ার পুকুর ১৪টি হলো, সিরাজুল ইসলামের পুকুর ২.৩০ লক্ষ, আফসার আলীর পুকুর ৪.৩১ লক্ষ, মোজাফ্ফর হোসেনের পুকুর ৪.২৮ লক্ষ, আব্দুল মান্নানের পুকুর ১.৪১ লক্ষ, নুর হোসেনের পুকুর ১.৮১ লক্ষ, ওমর ফারুকের পুকুর ১.৮৩ লক্ষ, ছাইফুর রহমানের পুকুর ৪.১৩ লক্ষ, আব্দুল হানিফের পুকুর ১.৫৪ লক্ষ, ছকিয়ত আলীর পুকুর ২.৫৪ লক্ষ, শামসুল হকের পুকুর ৩.৪৩ লক্ষ, জহুর আলীর পুকুর ১.৫০ লক্ষ, আজিজুর রহমানের পুকুর ২.৩৯ লক্ষ , হামিদুল ইসলামের পুকুর ১.২৯ লক্ষ এবং আয়নাল হকের পুকুর ২.৪৫ লক্ষ।

সরকারি জলাশয় ১০টি হচ্ছে ধোপারকুড়া (১)- ১৬.৬৪ লক্ষ, ধোপারকুড়া(২)-১০.২৬ লক্ষ, চন্দ্রখানা নয়ারছড়া ৩০ লক্ষ, খোঁচাবাড়ী বড়পীঠ-১ ও খোঁচাবাড়ী বড়পীঠ-২ ৩১.৯৪ লক্ষ, কৈকুড়ি ও খলিশাকুড়ির বিল ৩০.১৯ লক্ষ, বড়ভিটা বড়পীঠ ১৫.৬৩ লক্ষ, বড়লই বড়পীঠ ১৮.৮০ লক্ষ , রাঙ্গামাটি বড়পিঠ ১৬ লক্ষ।

বিলুপ্ত ছিটমহলের পুকুর মালিক ছকিয়ত আলী বলেন, আমার পুকুর খননের জন্য ২.৫৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ৭০/৮০ হাজার টাকার কাজ করে খনন অসমাপ্ত রেখেই চলে যান তারা। পরে মৎস্য কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও বাকি কাজ আর হয় নাই।

ধোপারকুড়া সরকারী পুকুরের সুফলভোগী সদস্য আঃ হামিদ,সালেহা,মোজাহার,ফজলু,আঃ রহমান জানান, ২৮ বিঘা খাস জমি তার মধ্যে ১৬ বিঘায় পুকুরের নামে ক্যানেল তৈরী করে সব টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রকৃত আয়তন নির্ধারণ করে খনন করলে পুকুরটি প্রসস্ত হতো,তখন মাছ চাষ সুবিধা হতো। তাছাড়া ৫ফুট গভীর করার কথা থাকলেও ৩ ফুট খনন করে মেশিন দিয়ে পানি দেয়া হয়েছে যাতে গভীরতা বুঝা না যায়।

ফুলবাড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহামুদুন্নবি মিঠু পুকুর মালিক ও সুফলভোগী সদস্যদের অভিযোগ সত্য নয় উল্লেখ করে বলেন, পুকুর খননের কাজ সঠিক ভাবে শেষ হয়েছে।

Bootstrap Image Preview