Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বন্যার আশঙ্কা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০১৯, ০৭:৫৮ PM
আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯, ১০:৩৬ PM

bdmorning Image Preview


ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু করেছে। বিশেষ করে ধরলা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। 

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৭৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ৫৯ সেন্টিমিটার, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঠালবাড়ী ইউনিয়ের চর সারডোব গ্রামের ধরলা পাড়ের বাসিন্দা মজিবর রহমান জানান, গত দুই দিন থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বাসিন্দা চরযাত্রাপুরের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দু’একদিনের মধ্যেই চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়বে।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার জানান, জেলার সবচেয়ে বড় নদ ব্রহ্মপুত্রে যেহেতু পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে সেহেতু বন্যা হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ও ত্রান শাখা সূত্রে জানা যায়, বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বৃহস্পতিবার বন্যা মোকাবেলায় আবারো প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

Bootstrap Image Preview