অনেকেই হয়তো সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করতে গিয়ে মূল্যবান কিছু না কিছু খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু এমন কি কখনো দেখেছেন, আপনার জন্য সারি সারি জুতা পড়ে রয়েছে সমুদ্রসৈকতে। তাও আবার দামী দামী নাইকির জুতা। কিন্তু আপনার দুর্ভাগ্য,সেই জুতা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না।
কারণ সমুদ্রের বুকে ভেসে ভেসে দীর্ঘ পথ যাত্রার পর সেই জুতা আর ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় নেই। সমুদ্রের লবণ পানিতে পচে গেছে জুতার চামড়া। পানির পোকারা বাসা বেঁধেছে ওই জুতায়। এমন হাজার হাজার নাইকির জুতা সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসার কথা শোনা যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
গত বছর মধ্য আটল্যান্টিকের সমুদ্র সৈকতগুলিতে প্রধান আকর্ষনীয় দৃশ্যই ছিল ভেসে আসা রঙ-বেরঙের নাইকির জুতা। আয়ারল্যান্ডের সমুদ্রসৈকতগুলি থেকে শুরু করে বাহামাস, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স সকল দেশেই নাইকির জুতা ভেসে আসার খবর শোনা গিয়েছিল। সমুদ্রসৈকতে অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস খুঁজে বেড়ানো যাদের অভ্যাস, তারা এই রহস্য উদঘাটন করতে তৎপর হন।
জানা যায়, গত বছর মার্চ মাসে উত্তর ক্যারোলিনার দুর্গম সমুদ্র পথে একটি জাহাজ দুর্ঘটনা ঘটে। ‘মায়েরক্স সাংহাই’-নামে জাহাজটি ওই দুর্ঘটনায় প্রায় ৭০টি কন্টেনার সমুদ্রে হারায়। প্রত্যেক কন্টেনারে প্রায় ২৯,০০০ নাইকির জুতা ছিল। সেই জুতাগুলাই এখন বিভিন্ন দেশের সমুদ্র সৈকতগুলিতে ভেসে ভেসে আসছে।
যদিও নাইকি কর্তৃপক্ষ সেরকম কোনো দুর্ঘটনার কথা জানায়নি এখনও পর্যন্ত। যদিও এই ঘটনা প্রথমবার নয়। ঠিক এরকমই এক নাইকি জুতাবাহী একটি জাহাজ ১৯৯০ সালে এক সমুদ্র দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তখন ৬১,০০০ নাইকি জুতা সমুদ্রে হারায়।