Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চিলাহাটী-ঢাকা রেলপথে দিবাকালীন বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবি

এম এ মোমেন, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯, ০৬:৩২ PM
আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ০৬:৩২ PM

bdmorning Image Preview


ঈদের আগেই চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী দিবাকালীন বিরতিহীন আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (২৫ মে) বেলা ১২টার দিকে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করে নীলফামারী উন্নয়ন ফোরাম।

ওই মানববন্ধনে সাধারণ সমানুষ ছাড়াও একাত্মতা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও দলের সহযোগী অঙ্গসংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে দাবি জানান। 

মানববন্ধন শেষে সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা দাবি করে বলেন, উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী নীলফামারীর চিলাহাটী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বিরতিহীন দিবা ও রাত্রীকালীন দু'টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচলের জন্য দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছে জেলাবাসী। ওই দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারী চিলাহাটী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত শুধুমাত্র রাত্রীকালীন আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক।

সে সময়ে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে চিলাহাটী-ঢাকা রেলপথে দিবাকালীন আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস আরেকটি ট্রেন চালুর কথা দিয়েছিলেন রেলপথ মন্ত্রী। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বর্তমান রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজনও উপস্থিত ছিলেন। 

কিন্ত বর্তমানে দেশের বিভিন্ন পথে নুতন নুতন ট্রেন চালু হলেও উপেক্ষিত হয়েছে নীলফামারী জেলাবাসীর র্দীঘদিনের সেই দাবি। 

অন্যান্য জেলায় রেল যোগাযোগ উন্নয়ন ঘটনায় ওই সব জেলার মানুষ সুবিধা ভোগ করলেও নীলফামারী জেলাবাসী রেলযোগাযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তাই ঈদের আগেই চিলাহাটী থেকে ঢাকা পর্যন্ত দিবাকালীন আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেন চলাচল দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দিয়ে দাবি বাস্তবায়ন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

একই সাথে রাত্রিকালীন আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে সরিয়ে নেওয়া নন-এসি বাথ কোচ পুনঃস্থাপনসহ স্নিগ্ধা ও শোভ কোচে আসন বৃদ্ধি দাবি জানান। 

মানববন্ধন শেষে  একই দাবিতে রেলপথ মন্ত্রী বরাবরে নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতনের হাতে একটি স্মারক লিপি হস্তান্তর করেন নীলফামারী উন্নয়ন ফোরামের নেতৃবৃন্দরা। 

নীলফামারী উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ সরকারের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রশীদ মঞ্জু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান,  জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ফজলুল হক, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহুরুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান কোকো, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টু, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার সাহা, কার্য নির্বাহী সদস্য স্বাগত সরকার, জেলা শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তালেব, জেলা ট্রাক-ট্যাঙ্কলড়ীর শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি গোলাম রহমান ডালু, দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি হামিদুল ইসলাম প্রমুখ।

নীলফামারী উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ সরকার জানান, নীলফামারী জেলার চিলাহাটী রেলপথ অতি পুরাতন। ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে পাক-ভারত বিভিক্তির আগ পর্যন্ত এই স্টেশন থেকে ভারতের দার্জিলিং এবং কলকাতা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করতো। এরপর ট্রেন চলাচল বন্ধ হলেও ২০০৪ সাল পর্যন্ত এ পথে ভারতে যাওয়া আসা করেছেন পাসপোর্টধারীরা।

বর্তমানে পথটি চলাচলের জন্য বন্ধ থাকলেও সেখানে ইমিগ্রেশন এবং কাস্টম অফিস চালু আছে। পাশাপাশি সরকার চিলাহাটিকে স্থলবন্দর ঘোষণা করে ভারতের সাথে রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের কাজও হাতে নিয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে চিলাহাটি থেকে খুলনা দুটি আন্তঃনগর এবং মেইল ট্রেন, দুটি আন্তঃনগর রাজশাহী এবং ঢাকা একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে।
 

Bootstrap Image Preview