Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ব্রহ্মপুত্রের আগাম ভাঙন; বিলীনের পথে বেড়িবাঁধ-রাস্তাসহ বাড়িঘর

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৯, ০৮:০৩ PM
আপডেট: ২৩ মে ২০১৯, ০৮:০৩ PM

bdmorning Image Preview


কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীনের পথে পাকা বেড়িবাঁধ, রাস্তা এবং তীরবর্তী অঞ্চলের শত শত বসতবাড়িসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উপজেলার বন্দবেড় ও চরশৌলমারী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত গ্রামগুলোতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ ভাঙন শুরু হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বাগুয়ারচর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের দৃশ্য। আসছে বন্যা মৌসুমের আগেই ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বপাড় বামতীরে অবস্থিত পাকা বেড়ি বাঁধ রাস্তা, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মসজিদ ঘর, বাগুয়ারচর গ্রামে বসবাসরত দুই হাজার পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, কাঁচা-পাকা রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙনে বিলীনের আশঙ্কায় রয়েছে। এলাকার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

উপজেলার বাগুয়ারচর গ্রামের মো. আবু হাফিজ ও শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, বন্যার আগেই বাগুয়ারচর গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উত্তর বাগুয়ারচর হতে বাইশপাড়া পর্যন্ত দুই কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র নদের তীর সংরক্ষণ করা জরুরি। এ কাজ না করলে একমাসের মধ্যেই পাকা রাস্তাসহ পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

রৌমারী নদী ভাঙন প্রতিরোধ আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সিএসডিকে এনজিওর নির্বাহী পরিচালক মো. আবু হানিফ মাস্টার বলেন, আগামী বন্যা মৌসুমের আগেই বাগুয়ারচর গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ দিয়ে তীর সংরক্ষণে বরাদ্দ দিয়েছে একশ ৮০ কিলোমিটার। এ বরাদ্দ বাড়িয়ে দুই কিলোমিটারজুড়ে জিও ব্যাগ দিয়ে তীর সংরক্ষণ করলে এলাকা রক্ষা পাবে।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপঙ্কর রায় বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন এলাকার পাকা রাস্তা ও বাগুয়ারচর গ্রাম পরিদর্শন করেছি। পাকা বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে এলাকায় নদের পানি প্রবেশ করবে। আর এতে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, পাকা রাস্তা ও বাগুয়ারচর গ্রাম রক্ষায় দুই কিলোমিটার জিও ব্যাগ দিয়ে তীর সংরক্ষণের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। কিছু বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কাজও শুরু হয়েছে।

Bootstrap Image Preview