পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বৌদি বাসন্তী রানীর হামলা-মামলাহর জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে দেবর সমির হাওলাদার।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা বারোটায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমীরের পিতা ও বাসন্তী রানির শ্বশুর বিমল হাওলাদারসহ আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশিরা।
লিখিত বক্তব্যে সমির হাওলাদার বলেন, বড় ভাই দেব-রঞ্জন হাওলাদার তার দুই মাসের অন্তসত্তা স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রেখে ২০০৯ সালে মারা যায়। দারিদ্রতার সংসারে কষ্ট করে ভাইয়ের ন্ত্রীকে নিয়ে সুদীর্ঘ সময় নিয়ে একই ঘরে বসবাস করছি। বৌদি বাসন্তী রানিসহ তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তায় আমার বাবা বাসন্তী রানীর দুই কন্যা স্বর্না ও সমাপ্তির নামে দুই বিঘা জমি দান করে দিয়েছেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে বৌদি বাসন্তী রানী সংসারে নানা ধরনের অশান্তি সৃষ্টি করেন। অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করছেন।
সর্বশেষ ৮ মে এ বিষয় নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হলে একপর্যায়ে বৌদি বটি দা নিয়ে আমার বৃদ্ধ বাবাসহ আমাদের উপর হামলা করতে উদ্যত হয়; যা প্রতিবেশী অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছেন। কিন্তু এ বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে সুবিধা নেয়ার জন্য বিঞ্জ আদালতে পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা দায়ের করেন।
সেখানে উল্লেখ করেছেন, সন্তানদেরসহ তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে হামলা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যেখানে তাকেসহ সন্তানদের ভবিষ্যত চিন্তা করছি, সেখানে এ ধরনের ঘটনার প্রশ্নই আসে না।
হাসপাতালে ভর্তিকালীন তার চিকিৎসা সহায়তাসহ খোঁজ-খবর নিলেও বাসন্তী রানী নিজ নামে জমি লিখে দেয়ার জন্য বর্তমানে চাপ প্রয়োগ করছে। নারী নির্যাতন মামলাসহ নানা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে।
বিমল হাওলাদার বলেন, বাসন্তী রানীর আচরণে পরিবারের সাবই তার কাছে জিম্মি ও অসহায় হয়ে পড়েছি। সামজিকতা ভুলন্ঠিত হচ্ছে। বর্তমানে চরম আতঙ্কে দিন পার করছি।
বাসন্তী রানী তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্ল্যেখ করে বলেন, শশুর পরিবারের লোকজন ঠিকমত ভরন-পোষণ না দেয়ায় পীর বাবার নির্দেশে স্থানীয় কালু ভৌমিকের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে চলছি। এটি তারা মেনে না নিয়ে আমাকে নানাভাবে নির্যতন-নীপিড়ন করছে। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চাচ্ছে।