Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যে বিদ্যালয়ের পাহারাদার বাবা, সেখান থেকেই জিপিএ-৫ পেলো ফারজানা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ মে ২০১৯, ১০:১৪ PM
আপডেট: ১০ মে ২০১৯, ১০:১৪ PM

bdmorning Image Preview


বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার টেমার মালেকা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন মো. ছালাম মিয়া। এবার সেই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ থেকেই জিপিএ-৫ পেয়েছে মেয়ে ফারজানা।

এ দিকে জিপিএ-৫ পেয়েও অন্য সবার মতো আনন্দ নেই বাবা-মেয়ের মনে। দু'জনের মনেই শঙ্কা কাছ করছে আগামীর লেখাপড়া নিয়ে। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের টেমার এলাকায় বাড়ি তার।

ছোটবেলা থেকেই বাবার অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠেছে ফারজানা আক্তার (১৫)। তারপরও বাবার সামান্য আয়ের সংসারেও থেমে থাকেনি সে। পরিচয় দিয়েছে মেধার।

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ফারজানা জানায়, আভাব-অনটনের কারণে দৈনিক ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা প্রাথমিকের শিশু শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়িয়েছি। এরপর নিজের পড়াশোনা করেছি। প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করেছি। এ ছাড়া যখনই সুযোগ পেয়েছি মাকে সাংসারিক কাজে সহযোগিতা করেছি। সবাই ভালোবাসতো। মা-বাবা ছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা আমাকে খুব অনুপ্রেরণা দেন, সহযোগিতা করেন।

ফারজানা জানায়, তার স্বপ্ন একদিন সে শিক্ষক হবে। শিক্ষক হয়ে ছোট-ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে শিক্ষিত জাতি গঠন করবে।

ফারজানার বাবা মো. ছালাম মিয়া জানান, সামান্য বেতনে বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরীর চাকরি করে দুই সন্তান, স্ত্রী ও মাসহ ৫ জনের সংসার চালাতে হয়। এরপর ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালানো খুবই কষ্টকর।

তিনি বলেন, ফারজানার এ সাফল্যে খুশি হয়েও বর্তমানে চরম দুশ্চিন্তায় আছি। কীভাবে একটি ভালো কলেজে ভর্তি করে মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাবো বুঝতে পারছি না।

ফারজানার মা লিপি বেগম বলেন, অভাব-অনটনের টানাটানির সংসারে মেয়েকে পরীক্ষার সময় ভালো একটি জামাও কিনে দিতে পারিনি। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা যেমন সব বিষয়ে প্রাইভেট পড়ে, তেমন সুযোগ হয়নি ফারজানার। সেই সক্ষমতাও ছিল না আমার পরিবারের। পড়াশোনার জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করেছে ফারজানা।

Bootstrap Image Preview