ভারতের উপকূল অতিক্রম না করলেও এটি বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আসবে। যেভাবেই হোক ফণী বাংলাদেশে আসবেই। আর এ কারণে সম্ভাব্য সকল স্থাপনার ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে।
ঘণ্টায় ১৬০-১৮০ কিলোমিটার গতির বাতাস হাজার কিলোমিটার ব্যাসের বিস্তার নিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী।
বাংলাদেশে এর আঘাতে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উপকূলের দুই জেলা খুলনা ও বরগুনা। এ জন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ এবং চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে।
এ দিকে আগাম সতর্কতা হিসেবে বরিশালের অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচাল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংকেত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বরিশালসহ উপকূলীয় জেলাসমূহে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) কর্তৃপক্ষও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। যেখানে বিসিসির মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে নিজ থেকেই সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১টার দিকে মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ সি-বোটে করে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালান।