পেশায় সমাজতাত্ত্বিক এই ব্যক্তি ইসলামি উপায়ে বউ পেটানোর কৌশল শিখিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ছোট একটি ছেলেকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করেছেন তিনি। ভিডিওতে সেই ছেলেকে বউ হিসেবে হাজির করে নানা কায়দায় পেটানোর দৃশ্য ধারণ করে ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন। এই ভিডিও প্রকাশের পর তীব্র সমালোচনা ও নিন্দার শিকার হন তিনি।
কাতারের এই সমাজতাত্ত্বিকের নাম আবদুল আল-আজিজ আল-খজরাজ। ছেলেটির মাধ্যমে দর্শককে শেখাতে চেয়েছেন, কীভাবে বাড়িতে স্ত্রীকে মারধর করবেন কিংবা শাস্তি দিয়ে নিজের পুরুষত্ব জাহির করবেন।
আর এই পুরো মারধরকে বৈধ হিসেবে হাজির করেছেন তিনি। বলেছেন, ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী স্ত্রীকে এভাবে মারধর করা যাবে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট সেই ছেলেকে ‘স্ত্রী’ মনে করতে বলেছেন তিনি। এরপর কীভাবে স্ত্রীকে ধমক দিতে হবে, কীভাবে মারধর শুরু করতে হবে, শাস্তি দিতে হবে তার নমুনা শেখাচ্ছেন তিনি। বলছেন, ‘কেউ কেউ স্ত্রীর মুখে ঘুষি বা চড় মারেন... সেটা অনুমোদনযোগ্য নয়।
তার মতে, নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কখনই নারীদের মুখে, মাথায়, নাকে মারধরের অনুমতি দেননি। মারপিট করতে হবে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। প্রায় তিন মিনিটের ভিডিওটিতে তিনি শিখিয়েছেন, কতটা আলতোভাবে স্ত্রীকে ধরে, ব্যথা না দিয়েই নিজের পুরুষত্ব জাহির করতে হবে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার ভিডিওটি ইউটিউবে দেখা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ১৩ হাজার ১৩৮ বার। লাইক দিয়েছেন ৯২৩ জন এবং ডিজলাইক দিয়েছেন চার হাজার জন। গত ২৯ মার্চ মেমরি টিভি ভিডিও নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে এই ভিডিও প্রকাশ করে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েছেন কাতারের এই সমাজতাত্ত্বিক।