পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় নিজের শেষ সম্বল হারানোর প্রতিবাদে মৃত্যুর পরে তার লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ মল্লিক।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবির কথা জানান তিনি।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল আজিজ মল্লিক জানান, ১৯৬৬ সালে সেনাবাহীনিতে যুক্ত হন। ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করাসহ শতাধিক যোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ দেন। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে জীবিকা নির্বহের জন্য পূর্ব সুবিদখালী এলাকায় একটি দোকানঘর নির্মাণের জন্য জমি ক্রয় করেন।
একাধিকবার তার দোকান ভেঙে দেয় পার্শ্ববর্তী মসজিদ ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। জমির মালিকানা বিষয়ে দুইবার আদালত তার অনুকূলে নির্দেশ দিলেও সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে বাধা দেয় উপজেলা প্রশাসন। সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে একটি মডেল মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। এতে সর্বশান্ত হওয়ার পথে রয়েছেন তিনি। প্রশাসনের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, মৃত্যুর পর তাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা না হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাকী জানান, মডেল মসজিদের জন্য ইতিপূর্বে ঐ স্থানের নাম প্রস্তাব করে পাঠায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বর্তমানে আমি এসে এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলায় বিরোধীয় সম্পত্তিতে মডেল মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের অবগতি ও মতামত চাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত স্বাপেক্ষে পরবর্তীতে নি:স্কন্টক জমি নির্বাচনের কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।