Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

গুলশানে আগুন লাগার আগে স্মরণিকা দিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:৫৮ PM
আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:৫৯ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর ৬টায় রাজধানীর গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজার সুপার মার্কেটে অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণের  যোগ দিলেও প্রায় ২ঘন্টার বেশি সময়  লেগে যায়।

কিন্তু রাজধানীর গুলশান-১ ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজার সুপার মার্কেট কর্তৃপক্ষের কাছে ২০১৭ সালের নভেম্বর পর হতে ৩ দফায় নোটিশ ও স্মরণিকা দিয়ে সতর্ক করার হয়েছিল।

যাতে উল্লেখ্য করা হয়েছিল, ‘মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক নির্বাপক ব্যবস্থা নেই। আর অপরিকল্পিত ভাবে টানা বিদ্যুতের তার গুলো যেকোনো সময় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার ডেকে আনতে পারেন। মার্কেট কর্তৃপক্ষ যাতে দূরত্বটার সাথে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং মার্কেট কর্তৃপক্ষকে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়ের জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু অজানা কারণেই অগ্নি নির্বাপকের জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি মালিক সমিতি।

ফায়ার সার্ভিসের ৩ দফার নোটিশ ও স্মরণিকা দেওয়ার পরেও কেন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এবিষয়ে গুলশান ১ কাঁচাবাজার সুপার মার্কেটের চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে আগুনের পরে আমরা সেভাবে কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। আর আমরা নিজেদের চেষ্টায় মার্কেট পুনরায় দাঁড়া করিয়ে ছিলাম। তাই আমরা সেভাবে সকল নীতিমালা নামতে পারিনি। কিন্তু পুরান ঢাকার আগুনের পরে আমরা এবিষয়ে সচেতন হয়েছি।

তিনি আরও বলেন বৈদ্যুতিক লাইনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল তা আমি স্বীকার করছি। যা এই মাসেই ঠিক করার কথা ছিল। ইলেক্ট্রিশিয়ানের সাথে আমাদের কথা হয়েছিল। সব ঠিক থাকলে পহেলা বৈশাখের আগেই নতুন করে কারেন্টের লাইনগুলো সাজানো হত।

অন্যদিকে আগুনে দোকান পুড়ে যাওয়া দোকান মালিক খোকন মিয়া নিজেদের উপরে দোষ নিতে নারাজ। তিনি বলেন,এটি সিটি করপোরেশনের মার্কেট। তাঁদের দায়িত্ব এগুলো ঠিক করা। আমরা কেন ঠিক করবো।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো.মোস্তফা মোহাসীনের কথা হলে তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিস নিয়মিত ভাবে ঢাকাসহ সারা দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার বিষয়ে জরিপ করে আসছে এবং তাঁদের সতর্ক করে আসছে। কিন্তু মালিক এবং কর্তৃপক্ষের মাঝে সেভাবে কোনো আগ্রহ দেখা যায়।

আপনারা কেন কঠোর ব্যবস্থা  নিচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন , আসলে আমাদের কাজ হচ্ছে ভুল বা ত্রুটি গুলো জানানো। আর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব তো স্থানীয় সরকারে ।

Bootstrap Image Preview