Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মৎস্য কর্মকর্তার জব্দ করা অবৈধ জাল ছিনিয়ে নিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান!

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৯, ০৮:০২ PM
আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯, ০৮:৩০ PM

bdmorning Image Preview


পটুয়াখালীর দশমিনা উপেজলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা আ.লীগের সদস্য এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন শওকতের বিরুদ্ধে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লাঞ্চিতসহ জদ্ধকৃত অবৈধ বাঁধা জাল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার বাশবাড়িয়ার হাজীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার জানান, জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বুধবার বিকেলে তেঁতুলিয়া নদীতে নৌ-পুলিশের এএসআই সাইফুল ইসলামকে নিয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনার সময় বাঁশবাড়িয়া এলাকা থেকে তিনটি অবৈধ বাধা জাল জব্দ করা হয়। নদী তীরবর্তী হাজীরহাট এলাকায় জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ফেলার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন শওকত ২০/২৫টি মোটরসাইকেল যোগে কর্মী-সমর্থক নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় এ্যড. শওকত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করে আগুন দেয়া অবস্থার জাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব আলম তালুকদার জানান, বিষয়টি জেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে। থানায় জিডি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। বাঁধা জাল ধরা হলেই উপজেলা চেয়রম্যান শওকত সাহেব সুপারিশ করেন। বিগত দিনে তার কোন সুপারিশ রাখতে না পারার কারণে তিনি বেশ ক্ষিপ্ত রয়েছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন শওকত বলেন, ওই মৎস্য কর্মকর্তা জেলেদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে নদীতে অবৈধ জাল পাতার মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। আবার নিজেই সেসব জাল জব্দ করছেন। এতে জেলে এবং স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে তা ছিনিয়ে নিয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি মোবাইলের মাধ্যমে শুনেছি। উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।

Bootstrap Image Preview