কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়ে উঠছে। বিবিসি’র এক খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি তার সরকারের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচারমন্ত্রী উইলসন রায়বোল্ড অভিযোগ করে বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি কোম্পানি এসএনসি লাভালিনের সঙ্গে আদালতের বাইরে বোঝাপড়ার জন্য তাকে চাপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সম্মত না হওয়ায় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। অবশেষে সেটাই করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ট্রুডো ও তার কর্মকর্তারা মাসের পর মাস তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন যে, ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে কর্মসংস্থান হারাবে অনেক কানাডিয়ান। অপরদিকে দলও গুরুত্বপূর্ণ ভোট হারাবে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রকৌশলী ও নির্মাণ খাতের কোম্পানি এসএনসি লাভালিনকে নিয়েই এতো কিছু। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পেতে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত লিবিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের এ কোম্পানি প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তখন লিবিয়ায় মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতায় ছিলেন। এসএনসি লাভালিন এ নিয়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার বদলে আদালতের বাইরে সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে চায়।
কোম্পানিটি বলছে, তারা জড়িত অনেককে সরিয়ে দিয়েছে ও নিজেদের কর্মপন্থা পরিবর্তন করেছে। ট্রুডোর দাবি তিনি বেআইনি কিছু করেননি। শুধু কর্মসংস্থান রক্ষা করতেই কর্মকর্তারা নিয়ম-নীতি মেনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসেন ট্রুডো। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ফের নির্বাচনে লড়বেন তিনি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ কেলেঙ্কারির জন্য নির্বাচনে তাকে মূল্য দিতে হতে পারে।