বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী পলাশ আহমেদের শরীরে বাঁধা বোমা সদৃশ বস্তুটি ভুয়া ছিল। ভুয়া তার-সার্কিট দিয়ে ভেস্টের মতো তৈরি করেছিল পলাশ। এর আগেও পলাশ এক নারীকে অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল। এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
আজ সোমবার(২৫ ফেব্রুয়ারি) র্যাব সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে মুফতি মাহমুদ বলেন, বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা জানার পরই র্যাব-৭ ঘটনাস্থলে যায়। র্যাবের বোম ডিস্পোজাল ইউনিট কাজ করেছে। তার শরীরে বিস্ফোরক সদৃশ যা পাওয়া গেছে সেটাতে কোন বিস্ফোরক ছিল না। এটা ভুয়া একটা জিনিস ছিল, যেখানে ভুয়া তার-সার্কিট দিয়ে ভেস্টের মতো তৈরি করেছিল।
র্যাব জানায়, বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী পলাশ আহমেদকে ২০১২ সালে এক নারীকে অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।
এ বিষয়ে মুফতি মাহমুদ বলেন, ২০১২ সালের মার্চ মাসে পলাশ আহমেদ ও তার একজন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার অপরাধ ছিল সে একজন নারীকে অপহরণ করে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল।
র্যাবের ক্রিমিনাল ডাটাবেজ অনুযায়ী তার জন্মসাল ১৯৯৪। অর্থাৎ ২০১২ সালে গ্রেফতারের সময় তার বয়স ছিল ১৮ বছর। সে সময় গ্রেফতারের পর সে নিজেকে বিবাহিত দাবি করেছিল। শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি সমমানের। সে মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষার্থী ছিল।
উল্লেখ্য, পলাশ ও সিমলার কোর্ট ম্যারেজের সার্টিফাইট কপি গণমাধ্যমে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে ৬ মার্চ তাদের বিয়ে হয়।