Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভালোবাসা দিবসে নিষিদ্ধ ‘গিরি চকলেট’, বেঁচে গেলেন জাপানি নারীরা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:২১ PM
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:১১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


জাপানে ভালোবাসা দিবসে উপহার হিসেবে চকলেট দেওয়ার প্রথা শুরু হয় ১৯৫০ এর দশকের মধ্যভাগে। আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ দিনটিকে ঘিরে সারাবিশ্বের মত জাপানিদের মাঝেও ব্যাপক আবেদন থাকে। ‘গিরি চকলেট’ বা চকলেটের বাধ্যবাধকতা নামের এই প্রথা অনুসারে, কর্মস্থলে ১৪ ফেব্রুয়ারি নারীদের চকলেট উপহার দিতে বাধ্য করা হয় পুরুষ সহকর্মীদের। এক মাস পরই ১৪ মার্চ হোয়াইট ডেতে পুরুষেরা চকলেট উপহার দেন নারীদের।    

জানা যায়, প্রথা অনুযায়ী গত শতকের আশির দশকে চকলেট উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রি বাড়াতে এই দুই প্রথাকে জনপ্রিয় করে তোলে। তবে জাপানের নারীদের মধ্যে ভালোবাসা দিবসের এই প্রথাকে ঘিরে সম্প্রতি ক্ষোভের কথা শোনা যাচ্ছে। সহকর্মীদের জন্য চকলেট কেনার বাধ্যবাধকতাকে অনেক নারীই একটি অসহনীয় চাপ বলে অভিহিত করেছেন। অতীতেও এই প্রথার সুযোগ নিয়ে কর্মস্থলে অনেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এতে করে হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেক নারী। যার ফলে জাপানের অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের অফিসে এই প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।    

সম্প্রতি একটি জরিপে দেখা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি ৬০ শতাংশ নারী নিজেদের জন্য চকলেট ক্রয় করেন। ৫৬ শতাংশের বেশি নারী পরিবারের সদস্যদের জন্যও চকলেট কিনে থাকেন। ৩৬ শতাংশ নারী সঙ্গী বা পছন্দের মানুষকে চকলেট উপহার দেন। শুধু সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য চকলেট উপহার দেওয়া অনেক নারীর দূরতম কল্পনারও বাইরে বলে জরিপটিতে দেখা গেছে। তবে ৩৫ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, ভ্যালেন্টাইনসে তাঁরা সহকর্মীদের চকলেট উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

জরিপে অংশ নেওয়া এক কর্মজীবী নারী বলেন, ‘গিরি চকো প্রথা আমার অফিসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগে আমাদের চিন্তায় পড়ে যেতে হতো। প্রতিটি চকলেটের দাম কত হবে, কাকে কাকে দেবো। এই চিন্তাগুলো অযথাই আমাদের পীড়া দিত।’

Bootstrap Image Preview