Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের তিনটি বিমান নিলামে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:১৫ AM
আপডেট: ৩১ জানুয়ারী ২০১৯, ১১:১৫ AM

bdmorning Image Preview


পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খেলাপি বিনিয়োগ আদায়ে ইসলামী ব্যাংক ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের তিনটি বিমান নিলামে বিক্রি করা হবে। অর্থঋণ আদালত আইন-২০০৩ এর ১২ ধারা অনুযায়ী এই নিলামের আয়োজন হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিনিয়োগ ও মুনাফা বাবদ ইউনাইটেড এয়ারের কাছে ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা শাখার মোট পাওনা ১৫৩ কোটি ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩৪ টাকা। এই বিনিয়োগের বিপরীতে বন্ধকে থাকা তিনটি বিমান (মডেল নম্বর- বোয়িং এমডি৮৩; ডিসি-৯-৮৩ ও এটিআর-৭২-২০২) নিলামে বিক্রির জন্য দরপত্রের আহ্বান করেছে ইসলামী ব্যাংক। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার মধ্যে আগ্রহী ক্রেতাদের দরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে অনুমোদন পাওয়ার পরও বন্ডের টাকা হাতে না পাওয়ায় আটকে আছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের পুনর্গঠন পরিকল্পনা। এজন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে বাড়তি সময়ও পেয়েছে।

জানা গেছে, প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বিদেশি একদল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর নামে ৪০০ কোটি টাকার নতুন শেয়ার ইস্যু করে তাদের কাছ থেকে ৭টি উড়োজাহাজ ও যন্ত্রাংশ (তিনটি ইঞ্জিন) নেয়ার পরিকল্পনা অনুমোদনের আবেদন করেছিল ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। প্রাপ্তব্য উড়োজাহাজগুলোর ডাউন পেমেন্ট, বর্তমান উড়োজাহাজগুলোর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও কোম্পানির চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ২২৪ কোটি টাকার কুপন বিয়ারিং অবসায়নযোগ্য বন্ড ইস্যুরও অনুমোদন চেয়েছিল তারা। ২০১৬ সালেই বিএসইসি তাদের এ পরিকল্পনা অনুমোদন করে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে টিএসি এভিয়েশন লিমিটেড, ফিনিক্স এয়ারক্রাফট লিজিং প্রাইভেট লিমিটেড ও সুইফট এয়ার কার্গো নামের তিনটি কোম্পানির অনুকূলে নতুন শেয়ার ইস্যু করে ইউনাইটেড এয়ার।

নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, এসব শেয়ার সংশ্লিষ্টদের বিও হিসাবে এরই মধ্যে জমা হয়ে গেছে। তবে উড়োজাহাজের ডাউন পেমেন্ট দিতে না পারায় অন্য ৫টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারেনি তারা। বন্ড ইস্যু করতে না পারায় ডাউন পেমেন্ট দেয়ার মতো অর্থ কোম্পানির হাতে নেই।

বিএসইসিকে লেখা এক চিঠিতে কোম্পানিটি অভিযোগ করে, রেগুলেটরি অনুমোদনের পরও শুধু বন্ডের ম্যান্ডেটেড অ্যারেঞ্জার আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা না পাওয়াতেই বন্ড ইস্যু করে ২২৪ কোটি টাকা উত্তোলন করতে পারেনি তারা।

Bootstrap Image Preview