দেশে তৈরি হোন্ডা মোটরসাইকেলের বাজারজাত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচএল) বাজারে এনেছে লিভো ও ড্রিম নিও মডেলের নতুন দুই মোটরবাইক। ১১০ সিসির মোটরসাইকেল দুটিতে হোন্ডা ইকো টেকনোলজি (এইচইটি) ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। গত নভেম্বরে মুন্সীগঞ্জে উদ্বোধন হওয়া হোন্ডার নিজস্ব কারখানায় এ দুটি মডেল প্রথম তৈরি করা হয়।
হোন্ডার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হোন্ডা লিভোতে আছে সার্ভিস ডিউ ইনডিকেটর সমৃদ্ধ ডিজিটাল-অ্যানালগ মিটার। এতে রয়েছে স্পোর্টি গ্রাফিক্স ডিজাইন ফুয়েল ট্যাঙ্ক। লিভোর রিয়ার সাসপেনশনে আছে টু-পিস ক্রোম পেল্গটেড মাফলার, টেইল লাইট ও গ্র্যাব রেল। এর সঙ্গে আরও রয়েছে ডুয়াল টন ভিজর, ৫-ধাপের অ্যাডজাস্টেবল রিয়ার সাসপেনশন, ১৮০ মিমি ইনক্রিজড গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং হ্যান্ডেলের আপ-রাইট অবস্থান। দেশে তৈরি ড্রাম ব্রেকের লিভোর দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার টাকা। ডিস্ক ব্রেকের লিভোর দাম ধরা হয়েছে ভ্যাটসহ ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
অন্যদিকে গ্রাফিক্স ও ক্রোম পেল্গটেড গ্র্যাব রোলে ড্রিম নিও এখন আরও আকষর্ণীয় বলে দাবি কোম্পানির। ড্রিম নিওতে রয়েছে টিউবলেস টায়ার। নিওর দাম ভ্যাটসহ ৯৭ হাজার টাকা। উভয় মডেলে রয়েছে ফোরস্ট্রোক এয়ারকুল্ড ইঞ্জিন। দুটি মডেলই প্রতি লিটারে ৭৪ কিলোমিটার চলবে।
এ বিষয়ে কোম্পানির বিপণন ও উন্নয়ন বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন সজীব বলেন, এই মডেল দুটি আগে থেকেই বাংলাদেশের বাজারে রয়েছে। কিন্তু সেগুলো হোন্ডার অন্য দেশের কারখানায় উৎপাদিত। গত নভেম্বরে মুন্সীগঞ্জে হোন্ডা কারখানা চালু করেছে। বাংলাদেশের এই কারখানায় আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তৈরি করা হচ্ছে লিভো ও ড্রিম নিও মডেল। সেই মডেল দুটিই এখন বাজারে ছাড়া হলো। এখন থেকে বাংলাদেশের বাজারে এই কারখানার মোটরসাইকেলই সরবরাহ করা হবে। শিগগিরই অন্যান্য মডেলও এই কারখানায় উৎপাদন করা হবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গত শুক্রবার হোন্ডার নতুন দুই মডেলের বাজারজাত কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কোম্পানির এমডি ইউচিরো ইশি ও প্রধান উৎপাদন কর্মকর্তা সচি সাতো।