Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সারাবিশ্বে আজ ৪ লাখ শিশু জন্ম নেবে, বাংলাদেশে ৮ হাজার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:৩১ PM
আপডেট: ০১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৯:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


১৮ পেরিয়ে ১৯ এ পা দিলো এই শতক। আর নতুন এই বছরের প্রথম দিনেই সারাবিশ্বে জন্মগ্রহণ করবে আনুমানিক মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭২ শিশু। এছাড়া আজকের এই দিনেই শুধুমাত্র বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করবে আনুমানিক ৮ হাজার ৪২৮ জন শিশু।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনা (২০১৭), ওয়ার্ল্ড ডেটা ল্যাব, জাতিসংঘের উপাত্ত, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সেবা ও বেশ কয়েকটি দেশের জাতীয় পরিসংখ্যানসহ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে নবজাতক জন্মের এ সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।

বৈশ্বিক ভাবে বছরের প্রথম দিনে যত নবজাতকের জন্ম হবে তার প্রায় অর্ধেকের বেশির জন্ম হবে ভারত, চীন, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কঙ্গো এবং বাংলাদেশ অর্থাৎ এ আটটি দেশে। নতুন বছরের প্রথম দিনে বিশ্বে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের এক-চতুর্থাংশের জন্ম হবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে।

ইউনিসেফ বলছে, ভারতে এই দিনে জন্ম নেবে ৬৯,৯৪৪ শিশু আর পাকিস্তানে ১৫,১১২ জন। জন্ম নেওয়া শিশুদের চার ভাগের একভাগেরই জন্ম হবে সাউথ এশিয়াতেই। চীনে জন্ম নেবে ৪৪,৯৪০ শিশু, নাইজেরিয়ায় ২৫,৬৮৫, ইন্দোনেশয়ায় ১৩,২৫৬, যুক্তরাষ্ট্রে ১১০৮৬, কঙ্গোতে ১০,০৫৩ শিশু।

সিডনিতে অন্তত ১৬৮ শিশু জন্ম নেবে, আর টোকিওতে জন্ম নেবে ৩১০ জন, বেইজিংয়ে ৬০৫ জন, মাদ্রিদে ১৬৬ জন এবং নিউ ইয়র্কে ৩১৭ জন।

২০১৭ সালের দিকে তাকালে দেখা যায়, অন্তত ১ মিলিয়ন শিশু জন্মের দিনই মৃত্যুবরণ করে। ২.৫ মিলিয়ন শিশু প্রাণ হারায় তাদের জন্মের মাসেই। তাদের বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা যায় এমন সব কারণে প্রাণ হারায়, যেমন অপরিণত বয়সে জন্ম, জন্মদানের সময়ের জটিলতা, পচন বা নিউমোনিয়ার মতো ইনফেকশন। এসবই টিকে থাকার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ফিজিতে ২০১৯ সালের প্রথম শিশুটির জন্ম হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনের শেষ শিশুর জন্ম হবে যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন বছরের প্রথম দিনে বিশ্বে জন্ম নেওয়া শিশুদের এক চতুর্থাংশের জন্ম হবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে।

ইউনিসেফের এই ভাল খবরের পাশাপাশি খারাপ খবরও আছে। তথ্য থেকে জানা যায়, নবজাতককে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশে অনেক নবজাতকের নাম রাখাও সম্ভব হবে না। কেননা তাদের জীবনের প্রথম দিনটি পার করার আগেই তারা মারা যাবে।

চলতি বছরে শিশু অধিকার বিষয়ক সনদ গ্রহণের ৩০ বছর পূর্তি হবে, যা এই বছর জুড়ে বিশ্বব্যাপী উদ্‌যাপন করবে ইউনিসেফ। এই সনদের আওতায় সরকারগুলো আরও অনেক কিছুর পাশাপাশি মানসম্মত উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর জীবন বাঁচানোর পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এ বিষয়ে ইউনিসেফের উপনির্বাহী পরিচালক শার্লট পেত্রি গোর্নিৎজকা বলেন, আসুন, নতুন এই বছরের প্রথম দিনে আমরা সবাই প্রতিটি শিশুর প্রতিটি অধিকার পূরণে সংকল্পবদ্ধ হই। আর এটা শুরু করি শিশুদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমেই। প্রতিটি নবজাতকের জন্মই যাতে নিরাপদ কারও হাতে হয় তার জন্য আমরা যদি স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানে ও তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির যোগান দিতে বিনিয়োগ করি, তাহলে আমরা লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচাতে পারি।

Bootstrap Image Preview