৭২ বছর পর মুখোমুখি তারা। এক বৃদ্ধা, এক বৃদ্ধ। বৃদ্ধের হাত স্পর্শ করে রেখেছে বৃদ্ধার মাথা। এই ছবির আড়ালে রয়ে গেছে ৭২ বছরের পুরনো কাহিনী।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইকে নারায়ণ নাম্বিয়ার ও সারদার বিয়ে হয় ১৯৪৬ সালে। বিয়ের সময় নারায়ণের বয়স ছিল ১৮ বছর আর সারদা ১৩। কেরালের বাসিন্দা নারায়ণ ছিলেন কাভুম্বাই কৃষক আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। সেই সময়ে ইংরেজ আমল। কারাকাট্টিডাম নয়না নামে এক অত্যাচারীর বাড়ির কাছে তারা আন্দোলন করছিলেন। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে পাঁচজন মারা যান। নারায়ণ গুলিতে আহত হলেও পুলিশ তাকে আটক। পরে ৮ বছর কারাগারে বন্দি থাকেন।
এদিকে নারায়ণের বাড়িতে নিয়মিত অত্যাচার চালাচ্ছিল পুলিশ। বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের আট মাসের মাথায় পুত্রবধূকে বাপের বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেন নারায়ণের মা। পরে সারদার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়।
৮ বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে এসে নারায়ণও নতুন করে সংসার পাতেন। পরে নারায়ণের ভাগ্নি সান্থা সঙ্গে সারদার ছেলে ভর্গভনের মধ্যে যোগাযোগ হয়। তারা ঠিক করেন, সারদা ও নারায়ণের মধ্যে আবার দেখা করাবেন। ভর্গভনের বাড়িতে দেখা হয় দু’জনের। কথাও হয়। কথা শেষে নারায়ণ হাত রাখেন সারদার মাথায়। বলেন, ‘আমি চললাম। অশীতিপর সারদার চোখ তখনো নামানো মাটির দিকে।