Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সিগারেটের টাকা বকেয়া রানী ভিক্টোরিয়া কন্যার!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৫৩ AM
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৫৩ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


সম্প্রতি প্রকাশিত এক নথি থেকে জানা যায়, লন্ডনের একজন সিগারেট বিক্রেতার কাছে সিগারেট কেনার ১৫ শিলিং বকেয়া রেখেই মারা যান রানী ভিক্টোরিয়ার কন্যা প্রিন্সেস লুইস। 

বিবিসি জানায়, ১৯৩৯ সালে ৯১ বছরে বয়সে মারা যান লুইস। তখনও তার কাছে সিগারেট কেনার জন্য অর্থ পেত ‘আর লেউইস লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রিন্সেস লুইসের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করে ন্যাশনাল আর্কাইভ ইন কেইউ। ইতিহাসবিদরা বলছেন, কারও ব্যক্তিগত নথিপত্র প্রকাশ করার বিষয়টি বেশ ব্যতিক্রমী, যেহেতু এসব নথি সিল করা থাকে। বিখ্যাত শিল্পী হিসেবেও পরিচিত এ রাজকুমারী ছিলেন রানী ভিক্টোরিয়া ও প্রিন্স আলবার্টের ষষ্ঠ সন্তান এবং চতুর্থ কন্যা। নিজের আলাদা ধরনের জীবনযাত্রার জন্য তার বেশ পরিচিত ছিল।

নথিপত্র অনুযায়ী, মারা যাওয়ার সময় প্রিন্সেস লুইস ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৬০ পাউন্ড, ১৮ শিলিং এবং ছয় পেন্স রেখে যান। বর্তমানে যার মূল্য ৭ কোটি পাউন্ডের বেশি। তবে সিগারেট কেনার ১৫ শিলিংয়ের দাম বকেয়াই থেকে যায়। তখনকার জনপ্রিয় দামি সিগারেট ব্যান্ড ছিল ৩০০ প্লেয়ার্স বা উডবাইনস। যদিও নথিপত্রে উল্লেখ নেই যে- রাজকুমারী কোন ব্রান্ডের সিগারেট খেতেন। লুইসের জীবনী লেখিকা লুসিন্দা হকসলে বলেন, রাজকুমারী নিয়মিত সিগারেট খেতেন। তার মা সেটি পছন্দ না করায় লুকিয়ে খেতেন। ১৯০১ সালে তার ভাই দ্বিতীয় এডওয়ার্ড রাজা হন। তখন তিনি প্রথমবারের মতো রাজকীয় প্রাসাদের ধূমপান কক্ষে সিগারেট খাওয়ার সুযোগ পান। রাজকীয় জীবনযাপন নিয়ে বইয়ের লেখক মাইকেল ন্যাশ বলেন, এসব নথিপত্রের মাধ্যমে ত্রিশের দশকের একজন রাজকুমারীর জীবনযাপন সম্পর্কে একটি চটজলদি চিত্র পাওয়া গেছে। লুসিন্দার ধারণা, প্রিন্সেস লুইসের একজন অবৈধ সন্তান ছিল। ওই সন্তানকে পরে রানী ভিক্টোরিয়ার স্ত্রী রোগ চিকিৎসকের ছেলে দত্তক নিয়েছিলেন। তবে এসব নথিপত্রে তার কোনো উল্লেখ নেই।

Bootstrap Image Preview