ফ্রান্সে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শনিবার প্যারিসে সাপ্তাহিক ছুটিতে দ্বিতীয়বারের মতো রাস্তায় নেমে আসে কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী। এ সময় বিক্ষোভাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার প্যারিসের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে তিনি হাজার পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা শঁজে-এলিজে অ্যাভিনিউ অবস্থিত ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের কাছে পুলিশের একটি নিরাপত্তা বেষ্টনি ভাঙার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এ সময় কিছু বিক্ষোভকারী রাস্তার পাথর উঠিয়ে পুলিশের দিকে ছুড়তে শুরু করে, পুলিশকে লক্ষ্য করে পটকাও ছুড়ে মারে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাংখোঁ পদত্যাগ দাবি করে শ্লোগান দেয় তারা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে ও জলকামান ব্যবহার করে।
এদিকে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাংখোঁ। তিনি টুইটে লিখেন, ‘ধিক্কার জানাই তাদের, যারা এই হামলা করেছে। ফ্রান্সে কোনো ধরণের উদ্দামতা স্থান পাবে না।’
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত স্পর্শকাতর কোনো এলাকায় বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারেনি।
‘ইয়েলো জ্যাকেট’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই প্রতিবাদে ডিজেলের ওপর বাড়তে থাকা করের বিরোধিতা করে মাঠে নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। শনিবারের বিক্ষোভকে ‘দ্বিতীয় প্রতিবাদ’ হিসেবে ঘোষণা দেয় সংগঠকরা। তবে প্রথমদিনের প্রতিবাদে শামিল হওয়া লোকের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম। এক সপ্তাহ আগে প্রথমদিনের প্রতিবাদে ফ্রান্সজুড়ে প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার লোকা রাস্তায় নেমেছিল।