নিউইয়র্কে সশস্ত্র ডাকাতকে ধাওয়া করতে গিয়ে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশি মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ (৩০)। বাংলাদেশি অধ্যুষিত এস্টোরিয়ায় বনফুল সুপার মার্কেটে ৩ দুর্বৃত্তকে ধাওয়া করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। রাসেলকে ভর্তি করা হয়েছে এলমহার্স্ট হাসপাতালে। তার পা থেকে গুলি অপসারণে অস্ত্রোপচার করতে হবে।
রাসেল কুইন্সের জ্যামাইকায় বাস করতেন এবং কাজ করেন ম্যানহাটনে একটি রেস্টুরেন্টে। ৭ মাসে আগে সস্ত্রীক জ্যামাইকা থেকে এস্টোরিয়ায় আসেন তিনি।
নিউইয়র্ক পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা বনফুলের সিসিটিভি এবং আশপাশের সিসিটিভি পর্যবেক্ষণের পর জানায়, মুখোশধারী এক ব্যক্তি স্টোরে ঢুকেই পুলিশের ‘ব্যাজ’ দেখিয়ে বলতে থাকে যে, 'সবকিছু দিয়ে দে।'
এক পর্যায়ে আরেক যুবক স্টোরের এক কর্মচারিকে জিম্মি করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ দু’হাজার ডলার লুটে নেয়। স্টোরের অন্য কর্মচারি আব্দুল কুদ্দুস ছিলেন একটু ভেতরে।
তিনি পুলিশকে জানান, পুলিশের পরিচয়ে ক্যাশ থেকে নগদ অর্থ লুটে নেয়ার সময়েই বুঝতে পারি যে এরা ডাকাত। তবে আমি ঘাবড়ে গিয়েছিলাম পিস্তল দেখে। মোহাম্মদ রাসেল আহমেদও ছিলেন স্টোরের ভেতরেই। তিনি সেখানে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে স্বজনের কাছে টাকা পাঠানোর জন্যে। স্টোরের মালিক রাসেলের ভগ্নিপতি। ডাকাতির ঘটনায় হতভম্ব রাসেল এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করেন। এ সময় এক ডাকাত তাকে তাক করে গুলি ছুড়লে রাসেল গুলিবিদ্ধ হন।
পুলিশ জানায়, সিসিটিভি পরীক্ষার পর ডাকাতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। স্টোরের সিসিটিভি থাকায় স্বস্তি পাচ্ছি যে, ডাকাতেরা ধরা পড়বেন।
রাসেলের ভাবি শাহানা বেগম বলেন, রাসেল অত্যন্ত সাহসের সাথে ডাকাতদের ধরতে চেয়েছিলেন। আরেক আত্মীয় শিব্বির আহমেদ বলেন, নিজের জীবনের কথা ভাবেননি রাসেল। রাসেল চেয়েছিলেন ডাকাতদের আটক করতে।
আশপাশের সিসিটিভি পর্যবেক্ষণের পর পুলিশ আরো জানায় যে, দুর্বৃত্তরা একটি মিনিভ্যানে উঠে পালিয়ে যায়। ডাকাতির ভিডিও ফুটেজ পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমেও বিতরণ করা হয়েছে এবং সর্বসাধারণের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে দুর্বৃত্তদের ধরিয়ে দেয়ার জন্যে। ১-৮০০-৫৭৭-৮৪৭৭ এ ফোন করা যাবে অথবা ‘ক্রাইম স্টপার্স’ ওয়েবসাইটেও তথ্য দেয়া যাবে। টেক্সট মেসেজেও দুর্বৃত্তদের সন্ধান দেয়া যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।