Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যেভাবে প্রার্থী বাছাই করবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:০১ PM
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:০২ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রেকর্ড পরিমাণ মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এছাড়া দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলগুলো।

গত শুক্রবার থেকে টানা চার দিন মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। সোমবার এই কার্যক্রম শেষ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, চার দিনে ৪ হাজার ২৩টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। শেষ দিন ফরম বিক্রি হয়েছে ৩৩২টি।

এদিকে গতকাল সোমবার সকাল থেকে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। রাত ৮টা পর্যন্ত প্রথম দিনে আট বিভাগে মোট ১৩২৬টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলটি। ফরম বিক্রিও প্রতি দিন বাড়ছে।

দেশের প্রধান দুই দলের যে বিপুল পরিমাণ মনোনয়ন ফরম বিক্রি হচ্ছে তা আসলে কীভাবে বাছাই করা হবে, সেটি অনেকটা অজানাই। এ ব্যাপারে এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সঙ্গে।

এ ব্যাপারে সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, গত দুই বছর ধরে মাঠপর্যায়ে জরিপ করছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এই জরিপের জন্য এনজিও, শিক্ষকদের নিয়ে একটা দল আছে। দলের এ রকম ৫ থেকে ৬টি সোর্স রয়েছে। ৩ থেকে ৪ মাস পর পর সার্ভে রিপোর্ট এসেছে। বিভিন্ন সোর্স থেকে এই তথ্যগুলো নেয়া হয়েছে।

মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, অক্টোবরে সর্বশেষ জরিপের প্রতিবেদন এসেছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যে এলাকায় একজন প্রার্থীর সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি এবং ক্লিন ইমেজ আছে তাকে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দুটি মনোনয়ন বোর্ড রয়েছে। একটা সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড এবং অন্যটি স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড। দুই বোর্ডের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

মাহবুবুল আলম হানিফ জানান, আমাদের যে জরিপ দল রয়েছে তারা একটা নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের বাইরে ওই এলাকায় সম্ভাব্য অন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। সেসব দলের প্রার্থীদের ব্যাপারে এলাকায় একইভাবে জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

বিএনপির স্থায় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, গত ১০ বছরে যে সংগ্রাম হল সেই আন্দোলনে প্রার্থীর ভূমিকা কী ছিল সেটা আমরা দেখব। তার আর্থিক সচ্ছলতা আমরা বিবেচনা করব। তৃনমূল পর্যায়ের আমাদের সংগঠনের ব্যক্তিদের মতামত নেব।

মওদুদ আহমদ বলেন, মোটামুটি নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে তারা তথ্য সংগ্রহ করেন। সেগুলো আবার 'ক্রস-চেক' করেন। সংসদীয় পার্লামেন্টারি বোর্ড এই প্রার্থী নির্বাচন করবেন। বোর্ডের প্রধান খালেদা জিয়া এখন দুর্নীতির দায়ে কারাগারে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ওনার অনুমোদন নিয়ে আমরা ঘোষণা দেব। আমরা নিজেরা কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা দেব না।

তিনি আরও বলেন, অনেক এলাকা আছে যেখানে মানুষ বিএনপি করেন না কিন্তু বিজ্ঞ, শিক্ষিত যারা তাদের মতামত নেয়ার চেষ্টা করি। তারপর দেখি প্রার্থী জিতবে কিনা। এটা একটা বড় মাপকাঠি। হয়তো একটা প্রার্থীর সবকিছু আছে কিন্তু সে হয়তো ভোট পাবে না অথবা নির্বাচনে জিতবে না। সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। তবে ৯৫ ভাগ জায়গায় যেসব মাপকাঠির কথা বললাম সেগুলো বিবেচনায় আনা হবে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে। যখন আমরা প্রার্থীদের ডাকব তখন ৫ বছরের জরিপের এসব তথ্যগুলো আমাদের সামনে থাকবে।

Bootstrap Image Preview