Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নৌকা-ধানের শীষের মনোনয়নদৌড়ে যে ‘তারকারা’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৫৬ AM
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১১:১২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


একাল থেকে সেকাল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলগুলোর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বনামধন্য একঝাঁক তারকা।তাঁদের মধ্যে খেলোয়াড়, রুপালি পর্দার তারকা যেমন আছেন, তেমনি আছেন চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা ও সামরিক কর্মকর্তাসহ খ্যাতিমান ব্যক্তিরা।এঁদের কেউ সরকারি দলের হয়ে, অন্যরা বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করার কথা ভাবছেন।

এদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত আসাদুজ্জামান নূর, তারানা হালিম, মমতাজ। তাঁরা তিনজনই অভিনয় ও গান দিয়ে এ দেশের অজস্র দর্শক-শ্রোতার মন জয় করেছেন।কিন্তু পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জয়ী হয়ে সাংসদও নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে গঠিত সরকারে সংস্কৃতিজগতের দুজন পেয়েছেন মন্ত্রিত্বও। আগামী সংসদ নির্বাচনেও সংস্কৃতিজগতের অনেকের নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছে।

এদিকে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত অন্তত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দুই ডজন তারকা। আগামীকাল বুধবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে।

রুপালি পর্দার তারকাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গাজীপুর-৫, অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী ঢাকা-১৭, অভিনেত্রী শমী কায়সার ফেনী-৩, রোকেয়া প্রাচী ফেনী-৩, নায়ক শাকিল খান বাগেরহাট-৩, অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি ময়মনসিংহ-৩, অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল ঢাকা-১৪।

কণ্ঠশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম মানিকগঞ্জ-২, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান।

এছাড়া নীলফামারী-২ আসন থেকে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান নূর। এবারও তিনি এই আসন থেকে লড়বেন। ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মানিকগঞ্জ–২ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংসদ মনোনীত হন মমতাজ। ২০১৪ সালে এই আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় যুবলীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন তারানা হালিম। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে একই সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

২০০৯ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন তারানা হালিম। এবার টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান তিনি। এরই মধ্যে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রয়েছে তাদের সরব উপস্থিতি। সংসদীয় এলাকার প্রতিটি হাটবাজার, পথেঘাটে শোভা পাচ্ছে তাঁর পক্ষে রঙিন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড।

এ ব্যাপারে মহিলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোকেয়া প্রাচী এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি হুট করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিই নাই। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাঠ গোছানোর কাজ করছি, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছি। এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে চাইলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার বিকল্প নেই। দল যদি আমাকে মানুষের কল্যাণে কাজের জন্য যোগ্য মনে করে তবে মনোনয়ন দেবে। আমি আমার সাধ্যমতো কাজ করব। আমি মনোনয়ন যদি নাও পাই তবু নৌকার পক্ষে কাজ করব।’

জ্যোতিকা জ্যোতি এ প্রতিবেদককে বলেন ‘আসলে আমি আমার দেশ ও এলাকার জন্য কাজ করতে খুব আগ্রহী। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারলে কাজগুলো আরো বড় আকারে করার সুযোগ থাকে। আমার রাজনীতিতে আসার বিষয়ে আমার চেয়ে এলাকার মানুষই বেশি আগ্রহী। এলাকার মানুষ যোগ্য, আধুনিক, শিক্ষিত এবং জনগণের জন্য নিবেদিত নেতৃত্ব চায়। সেই শূন্যতার জায়গা থেকে তারা যখন আমাকে নিয়ে এগোতে চায় তখন আমার ইচ্ছাগুলোও ডানা মেলে। নমিনেশন আমি বা যেই পাক, নৌকার জন্য কাজ করে যাব।’

শমী কায়সার এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের পুরো পরিবার, আমার মা সারা জীবনই এলাকার জন্য কাজ করে। সোনাগাজী ও দাগনভূঞা নিয়ে ফেনী–৩ আসন। এই আসন নৌকার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা জায়গা। আমার নিজের এমপি হওয়ার চেয়ে, বিশেষ করে এলাকার উন্নয়নে, নৌকার জয়ের জন্য কাজ করাটাই প্রধান লক্ষ্য। আমার বাপ-দাদার স্মৃতিবিজড়িত এই এলাকা। এখানে জহির রায়হান ও শহীদুল্লা কায়সারের নামে একটা পাঠাগার করছি, কমপ্লেক্স করছি। সেই সুবাদে এখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, নৌকা, বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য কাজ করাই আসল উদ্দেশ্য। এখানে আমি মনোনয়ন পেলাম, এমপি হলাম, নাকি মন্ত্রী হলাম, এসব নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনা নেই।’

শমী আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সবাই সব সময় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কাজ করেছি। উন্নয়নের ধরে রাখার জন্য নৌকার পক্ষে মানুষের কাছে ভোট চাওয়া, শেখ হাসিনার জন্য ভোট চাওয়া দায়িত্বের জায়গা থেকে করছি। এটাই আমার বড় এজেন্ডা। আমার পরিবারেরও সেই এজেন্ডা ছিল, মায়েরও ছিল। আমারও তাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা যাঁকেই মনোনয়ন দিয়ে পাঠাবেন, এই উন্নয়ন ধরে রাখার জন্য তাঁর জন্য কাজ করব। আমি কাজ করতে চাই। আর তিনি যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন, তাহলে অবশ্যই করব। শহীদুল্লা কায়সার ও জহির রায়হানের বংশধর হিসেবে এখানকার মানুষের আলাদা একটা আবেগ আমার প্রতি কাজ করে। এটা আমার খুব ভালো লাগে।’

অপরদিকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল-২ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে এরই মধ্যে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় তুলেছেন। তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের আগে গণভবনে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আশীর্বাদ নিয়েছেন।

গত রবিবার (১১ নভেম্বর)ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে নড়াইল-২ আসনে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর থেকেই চলছে তুমুল আলোচনা।

খ্যাতিমান ব্যবসায়ীদের অনেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান ঢাকা-১ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সেলিমা আহমাদ কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মাসুদ পারভেজ খান, তাবারুকুল তোসাদ্দেক খান টিটু, আমিনুল হক শামীমসহ আরো একাধিক পরিচালক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর বাইরে ব্যবসায়ী নেতা এস এম মান্নান কচি, আতাউর রহমান খান আখির, আসলাম সানিও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন আলোচিত এক-এগারোর সময়ের প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, খ্যাতিমান চিকিৎসক প্রাণ গোপাল দত্ত কুমিল্লা-৭ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন হবিগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন দৌড়ে নেমেছেন।

অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ‘ডাক্তার হয়ে আমি সারা জীবন মানুষের সেবা করে আসছি। এটা অব্যাহত রাখতে চাই। কুমিল্লা-৭ আসন থেকে দলের মনোনয়ন চাইব। দলের সভাপতি মনোনয়ন দিলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করব।’

মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ড. ফরাসউদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার সব নেতাকর্মী আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পরিকল্পিতভাবেই কাজ এগোচ্ছে। সবার সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে মতামত নিয়ে নির্বাচনী কৌশল প্রণয়ন করব। আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ফলে রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে আমার অসুবিধা হবে না।’

সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘গত রবিবার মনোনয়ন ফরম কিনে ওই দিনই জমা দিয়েছি। এরপর গণভবনে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে আমার মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন। গত দুই বছর নির্বাচনী এলাকার এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে যাইনি। নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতিমান অনেকেই আমাদের মনোনয়ন চেয়েছেন। তাঁদের বিষয়ে দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। যেসব আসনে তাঁরা মনোনয়ন চেয়েছেন সেখানে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা ও জয়ের সম্ভাবনা কেমন সেসব বিবেচনা করে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে সারাহ বেগম কবরী, সোহেল রানা, শাকিল খান, জ্যোতিকা জ্যোতি, মনির খান, বেবী নাজনীন, শাফিন আহমেদ, অরুণা বিশ্বাস, মাসুম পারভেজ রুবেল, কনক চাঁপা, সিদ্দিকুর রহমান ও খল চরিত্রের অভিনেতা মনোয়ার হাসান ডিপজলেরও নির্বাচন করার কথা শোনা যাচ্ছে। তাদের অনেকেই সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় দেখা যাচ্ছে।

জাতীয়তাবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত ব্ল্যাক ডায়মন্ডখ্যাত গায়িকা বেবী নাজনীন। নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বেশ সোচ্চার তিনি। ওই সংসদীয় এলাকার প্রতিটি হাটবাজার, পথেঘাটে শোভা পাচ্ছে তাঁর পক্ষে রঙিন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড। বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক বেবী নাজনীন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে এসেছেন।

নির্বাচনী ভাবনার বিষয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান দাবি খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি। এ জন্য দেশে ও বিদেশে ব্যাপক জনমত গড়তে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। তবে দল নির্বাচনে গেলে আমি মনোনয়ন চাইব। স্থানীয় বিএনপি আমার পক্ষে জনসংযোগ শুরু করেছে। সাধারণ লোকজনও এতে অংশ নিচ্ছেন। তাঁরাই এসব পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার লাগাচ্ছেন। আর আমার জন্মস্থান সৈয়দপুর। সে কারণে ওই এলাকায় কাজ করাটা আমার নৈতিক দায়িত্ব।’

এ ব্যাপারে কনকচাঁপা বলেন, এলাকাবাসী চাইছেন আমি নিজ এলাকা থেকে নির্বাচন করি। এজন্য এলাকাবাসীর ভালোবাসায় মানুষের সেবা করতে নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অবশ্য অনেক আগেই দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যরা আমাকে মৌখিকভাবে মনোনয়ন দিয়ে দিয়েছেন। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি।

বিএনপির রাজনীতি সম্পর্কে কনকচাঁপা বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক আদর্শ হচ্ছেন- ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং নজরুল ইসলাম খান। তাদের অনুপ্রেরণাই রাজনীতিতে আসা। নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনগণের সেবা করতে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা।

এদিকে মনির খান দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। নির্বাচন উপলক্ষে তার নিজ এলাকায় গণসংযোগও করেছেন এ শিল্পী।

এ প্রসঙ্গে মনির খান বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে আমার নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে আসছি। এখন যদি কেন্দ্র থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে আমি অবশ্যই নির্বাচনে জয়ী হবো। কারণ আমার এলাকার মানুষেরা আমাকে কত ভালোবাসে তা নির্বাচনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন। যদি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে অবশ্যই আমি নির্বাচনে জয় লাভ করব।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্র জানায়, মনোনয়নপ্রত্যাশীরা চার হাজার ২৩টি ফরম সংগ্রহ করেছেন। প্রতিটি ফরমের মূল্য ছিল ৩০ হাজার টাকা। সে হিসাবে ফরম বিতরণ থেকে ১২ কোটি ছয় লাখ ৯০ হাজার টাকা আওয়ামী লীগের তহবিলে জমা হয়েছে; যা দশম জাতীয় নির্বাচনে ফরম বিক্রি থেকে প্রাপ্ত টাকার প্রায় দ্বিগুণ। গতবার ফরম বিতরণ করে প্রায় সাত কোটি টাকা আয় করে দলটি। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা নেওয়া গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আজ বিকেল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে আজ কোনো মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হবে না। 

অপরদিকে আজ, কাল ও পরশু (১২-১৪ নভেম্বর) মনোনয়ন ফরম বিক্রি করবে বিএনপি। ফরম জমা দেওয়ার তারিখ ১৩ ও ১৪ নভেম্বর। প্রতিটি ফরমের দাম পাঁচ হাজার টাকা। জমা দেওয়ার সময় দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ, কেনা ও জমা মিলিয়ে প্রতিটি ফরমের দাম পড়বে ৩০ হাজার টাকা।

প্রথম দিন ৩০০ আসনের জন্য বিএনপির মোট ১৩২৬টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে বলে জানান রিজভী।

তিনি বলেন, “আজকে এত দমন-পীড়নের মধ্যে, পাইকারী মামলায় লাখ লাখ নেতা-কর্মীর গ্রেফতার, রিমান্ডের নামে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের মধ্যে চাঁদা আদায়ের মধ্যেও কাকরাইল থেকে ফকিরেরপুল পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী শক্তির ব্যাপক স্ফুরণ আপনারা লক্ষ্য করেছেন। সকল নির্যাতনের জাল ছিন্ন করে এই জাতীয়তাবাদী শক্তি দলীয় কার্যালয়ে ভিড় করেছে।”

অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আফজাল এইচ খান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, বেলাল আহমেদ, মুনির হোসেন সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview