Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

সু চিকে দেওয়া সর্বোচ্চ খেতাব 'অ্যাম্বাসেডর অব কনসায়েন্স' প্রত্যাহার করল অ্যামনেস্টি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০২ AM
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০২ AM

bdmorning Image Preview


অং সান সু চিকে দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মানসূচক পুরস্কার 'অ্যাম্বাসেডর অব কনসায়েন্স' প্রত্যাহার করে নিল মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ৯ বছর আগে তাকে এটি দিয়েছিলো সংস্থাটি।

সংস্থাটি সোমবার এক ঘোষণায় জানিয়েছে, মিজ সু চি তার এক সময়কার নৈতিক অবস্থান থেকে ‘লজ্জাজনকভাবে’ সরে যাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা ও বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ঘটনায় এর আগেও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা সু চি'কে দেওয়া তাদের খেতাব প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলো লন্ডন-ভিত্তিক এই সংস্থা - অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

২০০৯ সালে অং সান সু চি’কে ‘অ্যাম্বাসাডর অফ কনশেন্স’ বা ‘বিবেকের দূত’ খেতাব দিয়েছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

তাদের মধ্যে রয়েছে, কানাডার পার্লামেন্টের দেওয়া সম্মানসূচক নাগরিকত্ব, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড শহরের দেওয়া সম্মাননা, গ্লাসগো নগর কাউন্সিলের দেওয়া ফ্রিডম অফ সিটি খেতাবসহ আরো অনেক সম্মাননা। এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলো লন্ডন-ভিত্তিক এই সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

এর আগে জাতিসংঘও রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো বর্মী সেনাবাহিনীর অভিযানকে মানবতা-বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছে এবং এই অপরাধের দায়ে দেশটির শীর্ষস্থানীয় জেনারেলদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহবান জানিয়েছে।

গৃহবন্দী থাকার সময় গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় অং সান সু চি’র শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল। সেই সম্মাননাই এখন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সংস্থাটির মহাসচিব কুমি নাইডু এক চিঠির মাধ্যমে অং সান সু চি’কে এই খবরটি দিয়েছেন।

সংস্থাটির মহাসচিব কুমি নাইডু তার চিঠিতে লিখেছেন, ''আট বছর আগে গৃহবন্দী থাকা নেত্রী ক্ষমতা গ্রহণের পর তার রাজনৈতিক নীতি-আদর্শ, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার কথা ভুলে সামরিক বাহিনীর চালানো জাতিগত নিধনযজ্ঞ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে উদাসীন ছিলেন।''

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, 'সংস্থার একজন দূত হিসেবে মিস সু চি’র কাছে প্রত্যাশা ছিল, শুধু মিয়ানমারের ভেতরে নয়, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের অবিচারের বিরুদ্ধে আপনি আপনার নৈতিক কর্তৃত্ব ও ভূমিকা রাখবেন। কিন্তু আমরা গভীর দুঃখ ভারাক্রান্ত। কারণ আপনি আশা, সাহস এবং মানবাধিকার রক্ষার আর প্রতিনিধিত্ব করেন না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আপনাকে দেওয়া ‘অ্যাম্বাসেডর অফ কনসায়েন্স’ সম্মাননা অব্যাহত রাখার কোন যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছে না।''

Bootstrap Image Preview