বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’র প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাগরে আছড়ে পড়ছে বিশাল বিশাল ঢেউ। বইছে ঝড়ো হাওয়া। বঙ্গোপসাগরে টিকতে না পেরে ফিশিং ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে সুন্দরবনসহ উপকূলের মৎস্যবন্দরে ফিরতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া বিভাগ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে।
উপকূলীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইদ্রিস আলী জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় গাজার প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় টিকতে না পেরে সোমবার সকাল থেকে শত শত ফিশিং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে সুন্দরবনসহ উপকূলের মৎস্য বন্দরে ফিরতে শুরু করেছে। বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়ছে বিশাল বিশাল ঢেউ। বইছে ঝড়ো হাওয়া।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড় গাজা সোমবার সকালে মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তর ও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের এক টানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বঙ্গোপসাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।