আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে প্রার্থীতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।
এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন উচ্চ আদালত। নিম্ন আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৭ বছরের সাজা হয়েছে। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন বিএনপির এই নেত্রী।
এদিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ এ তিন আসনের মনোনয়নপত্র তুলেছে বিএনপি। যে কারণে খালেদা জিয়া আদৌ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি না তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
কারণ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রার্থীর যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি কোনো আদালতে দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন।
এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম বলেন, মনোনয়নপত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রিটার্নিং কর্মকর্তার। তিনি যেখানে ভোট করতে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন সেই আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা তার সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হলে কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আমরা ফুল কমিশন বসে ওই আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। এখনে রায় বিপক্ষে গেলে তার আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।