নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জোটটি জানিয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের অংশ হিসেবেই ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
এছাড়াও তফসিল বাতিল করে তা এক মাস(প্রায় ৩০ দিন) পিছিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবিও জানিয়েছে জোটটি। এজন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে চিঠি দিয়েছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
রবিবার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমলগীর স্বাক্ষরিত এই চিঠি জমা দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবে এর আগে রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন এক মাস পেছানোর দাবি জানিয়েছিল। সেই দাবি আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে দিতে এসেছি।
এর আগে আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার এ সিদ্ধান্ত জানায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ন্যূনতম শর্তও পূরণ হয়নি। বিটিভিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম প্রচার আচরণবিধির লঙ্ঘন। ইভিএম বিরুদ্ধে আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তা বাতিল হয়নি। এ রকম পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া প্রায় অসম্ভব। এ অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের অংশ হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানের মৌলিক বিষয় ও মূল্যবোধ রক্ষার জন্য এ ঐক্য গঠন করা হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা। আশা করি এ ঐক্যবদ্ধ শক্তি নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জন করে জনগণের মালিকানা কায়েম করবে।’
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর)। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর (রোববার)। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর (সোমবার)। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার)। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার)।
এবারের সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০, যা গত ৩১ জানুয়ারি হালনাগাদ করা ভোটারের থেকে ৪৮ হাজার ৯৯ জন বেশি। ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ অক্টোবর- এই সময়ের মধ্যে নতুন ভোটার হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার।