মমিনুলের আক্ষেপ নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনটা শেষ হলো আক্ষেপ নিয়ে। শেষ ৫ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশ হারালো মোমিনুল ও তাইজুল ইসলামের উইকেট। প্রথম দিনে অপরাজীত ব্যাটসম্যানের তালিকায় রয়েছেন মুশফিক ১১১ ও মাহমুদুল্লাহ ০। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৯০ ওভারে ৩০৩-৫

ক্রিজে আছেন: মুশফিক (১১১) ) ও মাহমুদুল্লাহ (০)

শেষ বেলায় বাংলাদেশের অল্প আক্ষেপ:  মুশফিক ও মমিনুলের ২৬৬ রানের জুটিতে প্রথম দিনে আধিপত্ত দেখিয়েছে বাংলাদেশ দল। তবে দিনটা ছোট একটা আক্ষেপ নিয়ে শেষ হয়েছে। চাতারার বলে ইনিংসের ৮৫.৪ ওভারের সময় ২৪৭ ব্যাক্তিগত ১৬১ রানে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান মমিনুল। এরপর তাইজুল তার জায়গায় ব্যাট করতে আসলেও ১০ বলের বেশি ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। তিনি করেন ৪ রান। জার্ভিস তুলে নেন তাইজুলের উইকেট।

তাইজুলের বিদায়ের পর প্রথম ইনিংসে ১ ওভারের কেলা বাকি ছিল। এসময় ক্রিজে নামেন মাহমুদুল্লাহ। তবে তিনি ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকায় শেষ ৬টি বলে সাবধনেতার সাথে খেলে প্রথম দিনটা পাড় করে বাংলাদেশ।

ক্যারিয়ারে মুশফিকের ষষ্ঠ সেঞ্চিুর: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে ১৩ ও ৩১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। কিন্তু মিরপুরে ঠিক চেনা রুপেই পাওয়া গেলা তাকে। ৭১ রান নিয়ে চা বিরতীর পর মাঠে নামেই মুশফিক। সেটিকে সেঞ্চুরি রূপান্তর করতে খুব বেশি সময় নিলেন না তিনি। ১৮৭ থেকে আসল মুশফিকের সেঞ্চুরি। যেখানে ৮টি বাউন্ডারি হাকিয়েছেন তিনি। মুশফিকের সাথে ১৩১ রানে ব্যাট করছেন মোমিনুল।

জীম্বাবুয়েকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ: তিন ব্যাটসম্যানের দ্রুত বিদায়ের প্রথম সেশনের বাকিটা পথ আর কোনো উইকেট না হারিয়ে পার করছিল মুশফিকু ও মোমিনুল। লাঞ্চের আগে তারা দুজনে মিলে গড়ে তুলেছিল ৩০ রানের জুটির। লাঞ্চের পর সেটিকে পৌঁছে দিলেন ১৮১ রানে। অথাৎ দ্বিতীয় মেষনে আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। যার সুবাদে টেস্ট ক্যরিয়ারে সপ্তম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি।তার সেঞ্চুরি আসে ১৫০ বল থেকে। মোমিনুলকে সঙ্গ দিয়ে খেল যাচ্ছেন মুশফিক। দ্বিতীয় সেশেন তিনি তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। চা বিরতীতে যাওয়ার আগে ১৩২ বল থেকে মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছ ৭১ রান। যেখানে ৫টি চার হাকিয়েছেন তিনি।এদিকে মমিনুল ১৬৮ বল থেকে ১১৫ রান নিয়ে অপরাজীত আছেন। ১৪টি চারের মার মেরেছেন তিনি। 

লাঞ্চ বিরতীতে বাংলাদেশ: প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতয়ি টেস্টেও শুরুতেই দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। যেখানে মিঠুন ও কায়েস রানের খাতাই খূলতে পারেননি। আর লিটনের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৯ রান। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা বাংলাদেশকে কিছুটা টেনে তোলো মোমিনুল ও মুশফিক জুটি। লাঞ্চ বিরতীতে যাওয়ার আগে এই দুই ব্যাটসম্যান গড়ে তোলেন ৩০ রানের জুটি। যা দিয়ে বাংলাদেশরে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেছে। লাঞ্চে থেকে ফিরে তাদের লক্ষ্য থাকবে এই জুটিতে আরো বড় করে খেলার নিজেদের আধিপত্ত ধরে রাখতে।

অভিষেক রাঙাতে পারলেন না মিঠুন: নিজেরে অভিষেক টেস্ট ম্যাচকে স্বরনীয় করে রাখতে পারলেন না মোহাম্মদ মিঠুন। দলীয় ২৬ রানের মাথায় ৪ বল থেকে শূন্য রানে স্পিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ডেনাল ট্রিপানো বলে পরাস্ত হন তিনি।

শুরুতেই দুই ওপেনারের বিদায়: দলীয় ১৩ রানের মাথায় বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে ভাঙন আনেন জিম্বাবুয়ে পেসার কাইল জার্ভিস। তার বলে বলে ব্যাটের কিনারা লেগে স্পিপে থাকা চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কায়েস।১৬ বল থেকে শূন্য রানে বিদায় নিতে হয়। কায়েসের বিদায়ে ক্রিজে লিটনকে সঙ্গ দিতে নেমেছেন মমিনুল হক। কিন্তু ক্রিজে এরপর আর বেশিসময় স্থয়ী হতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৬ রানের সময় লিটনকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন কায়েস। ৩৫ বল থেকে ৯ রান করেন লিটন।

টসে জীতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ:

মিরপুরে টেস্টের একাদশে দুই স্পিনার মিরাজ ও তাইজুল ইসলামকে রাখা হয়ছে। নাজমুল ইসলাম অপু জায়গায় দলে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া সিলেট ক্যারিয়ারের অভিষেক টেস্ট খেলা রহির জায়গায় দ্বিতীয় পেসার হিসেবে অভিয়েক হয়েছে খালিদ আহম্মেদ। খালিদ জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো বোলিং করেছিলেন। 

ব্যাটিং লাইনআপে সিলেট টেস্টে দুই ইনিংসে ৫ ও ১৩ রানের ইনিংস খেলা শান্তকে বাদ দিয়েছে। তার জায়গায় মিডল অর্ডারে টেস্টে অভিষেক হয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের। 

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, মমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লা্হ রিয়াদ, আরিফুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম,  খালিদ আহম্মেদ, মোস্তাফিজুর রহমান