সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে মেঘলা আবহাওয়া ছিল। দেশের বেশকিছু স্থানে বিকেল ও সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টিও হয়েছে। রাজধানীতেও ধূলিঝড়ের সংমিশ্রণে বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বয়ে যায়।
সোমবার (০৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর হঠাৎ করেই দমকা হাওয়ার সঙ্গে আকাশটা মেঘলা হতে থাকে। পরে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়।
রাজধানীর বারিধারা ও কুড়িল এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ছাড়া খুব স্বল্প আকারে বেশ কিছু স্থানে বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। এতে স্বস্তি পেয়েছেন রাজধানীবাসী।
স্বস্তির সাথে বেশিরভাগ স্থানেই ধুলোঝড়ের কবলে পড়েছে নগরবাসী। গুলিস্তান, ফার্মগেট, মিরপুর এলাকায় ধুলিঝড়ের কবলে পড়েছেন বাইরে থাকা লোকজন।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালী বাতাসের সংমিশ্রণের ফলে ঢাকা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, রংপুর, সৈয়দপুর অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকায় খানিকটা দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
চলতি মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, এবার নভেম্বরে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। মাসের মাঝামাঝি শীত ভাব বাড়বে।
তিনি বলেন, এখন উত্তরে হাওয়া না বইলেও মধ্য কার্তিকে কোথাও কোথাও ঝিরঝিরে বৃষ্টি ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়িয়েছে। হেমন্তে সন্ধ্যারাত ও ভোরে কুয়াশা বা হালকা বৃষ্টি অস্বাভাবিক নয়। বাতাসে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এলে ঠাণ্ডার অনুভূতিও বেড়ে যায়।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ডিসেম্বরের শেষ ভাগে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সে সময় ঘন কুয়াশা দেখা যেতে পারে।